Cvoice24.com


সিনহা হত্যা: প্রদীপের সহযোগী কনস্টেবল রুবেল শর্মা কারাগারে

প্রকাশিত: ১০:১৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
সিনহা হত্যা: প্রদীপের সহযোগী কনস্টেবল রুবেল শর্মা কারাগারে

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার প্রধান আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ‘ডান হাত’ হিসেবে চিহ্নিত কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। 

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক তামান্না ফারাহ। 

রুবেল শর্মাসহ সিনহা হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ১৪ জন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্য আসামিরা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় পুলিশের কনস্টেবল রুবেল শর্মার নাম আসে। এ কারণে রবিবার রাতে র‌্যাবের একটিদল রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে আসে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মেজর সিনহা হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তিনি জানান, কনস্টেবল কনস্টেবল রুবেল শর্মার জন্য এখনো কোনো রিমান্ড চাওয়া হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে পরবর্তীতে তাকে রিমান্ডে নেয়া যেতে পারে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দুকযুদ্ধে আবদুল আমিন ও মফিদ আলম নিহতের ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা উল্লেখ করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়। কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত (টেকনাফ-৩) মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে এ মামলা দুটি করা হয়।

আদালত মামলা আমলে নিয়ে এ সংক্রান্ত টেকনাফ থানার মামলার নথিপত্র আগামী ৯ নভেম্বর আদালতে উপস্থাপনের জন্য টেকনাফ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু মুছা মুহাম্মদ।

এ নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সিনহা নিহতের ঘটনার পর ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগ ও সাংবাদিক নির্যাতনের দায়ে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর ৫ আগস্ট এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। মামলাটি র‌্যাবকে তদন্তভার দেয়া হয়। ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পুলিশের ৭ সদস্য। গত এক মাসে র‌্যাব এপিবিএন’র ৩ সদস্য, পুলিশের মামলার ৩ সাক্ষীকে আটক করে মোট ১৩ জনকে নানা মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে। ১২ জন আসামি এ পর্যন্ত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়