Cvoice24.com


চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ কবুল সাহেদের

প্রকাশিত: ১২:১৬, ১৪ অক্টোবর ২০২০
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ কবুল সাহেদের

চার দিনের রিমান্ডে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ কবুল করেছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান 'প্রতারক' মো. সাহেদ। পরে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। 

বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে মহানগর হাকিম খাইরুল আমিন এ আদেশ দেন। 

এর আগে গত ১১ অক্টোবর মো. সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডবলমুরিং থানা পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সে সাথে ডবলমুরিং থানার প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের উক্ত মামলায় মো. সাহেদকে গ্রেফতার দেখায় আদালত। মূলত প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের এ একটি মামলায় এর আগের দিন মো. সাহেদকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে 
আসা হয়।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাস সিভয়েসকে বলেন, 'ব্যবসায়ী মো. সাইফুদ্দিনের করা প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় মো. সাহেদকে চার দিনের রিমান্ডে এনে প্রচুর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে মো. সাহেদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর সত্যতা স্বীকার (কবুল) করেন। পরে আজ ১৪ অক্টোবর বিকালে তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।' সাহেদের স্বীকারোক্তি ও তদন্তের প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেওয়া হবে বলে জানান ওসি। 

গত ১৩ জুলাই প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে নগরীর ডবলমুরিং থানায় শাহেদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো. সাইফুদ্দিন। গাড়ির টায়ার ও যন্ত্রাংশ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মেগা মোটরর্সের মালিক জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের পক্ষেই মামলাটি দায়ের করেন তার আপন ভাই ব্যবসায়ী মো. সাইফুদ্দীন। ব্যবসায়ী সাইফুদ্দিন ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মিরসরাই উপজেলার ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত সায়েদুল আলমের ছেলে।

মামলার এজহার সুত্রে জানা যায়, রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহেদ ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সাইফুদ্দীনের ভাই ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা গ্রহন করেন এবং তা আত্মসাৎ করেন।

থানাসুত্র জানায়, শাহেদ নিজেকে বড় ব্যবসায়ী ও বড় রাজনৈতিক ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে গাড়ি চলাচলের জন্য রুট পারমিট নিয়ে দিবে বলে সাইফুদ্দিনের ভাইয়ের কাছ কাছ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে ও নগদে মোট ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর সাইফুদ্দিন তার সাথে যোগাযোগ করলে বিষয়টি মীমাংসা করারও আশ্বাস দেন। কিন্তু আত্মসাতের বিষয়টি সে আর মীমাংসা করেননি। তাই তার বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগে নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করেন সাইফুদ্দিন।

সিভয়েস /এসএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়