Cvoice24.com


আওয়ামী লীগ কখনও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না : ডা. শাহাদাত

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ১৯ অক্টোবর ২০২০
আওয়ামী লীগ কখনও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না : ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মতোই ত্রাস সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিন থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা হয়রানির শিকার হয়েছে। তারা বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে জাল ভোট দিয়ে ভোট ডাকাতি করেছে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন ইভিএম দিয়ে ভুয়া ফলাফল তৈরি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। কারণ আওয়ামী লীগ কখনও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। আমরা অনিয়মের এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি এবং এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে উপ-নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছে। সরকারি দলের মদদপুষ্ট এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা এবং সরকারি ব্যবস্থপনার ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে। 

তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার শারদীয় শুভেচ্ছা জানান। আনন্দমুখর পরিবেশে এই ধর্মীয় উৎসব পালনের সকল ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানান।

সমাবেশে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতাসীনরা নির্বাচনের ফল দখল করেছে। নির্বাচন কমিশনের সমর্থনে সরকার আমাদের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনের নামে একটি তামাশা হয়েছে। ভোট চুরির নতুন কৌশল আবিষ্কার করে তা প্রয়োগ করেছে। সরকারের অনুগত নির্বাচন কমিশন ভোট চুরিতে সহায়তা করেছে। ফলে সাজানো ভোটের ফলাফলের মাধ্যমে জনগণকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। তাই এ নির্বাচনের ফল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। জালিয়াতির এ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

চট্টগ্রাম মহনগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায়  বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সহ সভাপতি মো. মিয়া ভোলা, শামছুল আলম, এড. আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, জয়নাল আবেদিন জিয়া, নাজিমুর রহমান, হারুন জামান, এস এম আবুল ফয়েজ, সি. যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক  আবদুল হালিম শাহ আলম, এসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগীঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম , সহ সাধারণ সম্পাদক জি এম আইয়ুব খাঁন, শামছুল আলম (ডক), খোরশেদ আলম, সম্পাদক বৃন্দ মো: আলী মিঠু, এড. সিরাজুল ইসলাম, ফাতেম বাদশা, মনোয়রা বেগম মনি, শেখ নুর উল্লাহ বাহার, এইচ এম রাসেদ খান, হাজী নুরুল আকতার, ইউসুফ জামাল, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, শহীদুল ইসলাম শহীদ, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মোশারফ হোসেন ডেপটি, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো: আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সহ সম্পাদক এ কে এম পেয়ারু,আবদুল হালিম স্বপন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, জেলী চৌধুরী, রঞ্জিত বড়ুয়া, আজাদ বাঙ্গালী, আবু মুছা, শফিক আহমদ, আবদুল হাই, আলী আজম, সৈয়দ আবুল বসর, ফরিদুল আলম, মনজুরুল কাদের, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এম এ গফুর বাবুল, মো. মুছা, নাছিম চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, তোফাজ্জল হোসেন, আসাদুজ্জামান দিদার, আলী মর্তুজা খান, জমির উদ্দিন নাহিদ, জিয়াউর রহমান জিয়া, তানভীর মল্লীক প্রমুখ।


সিভয়েস/এমএন

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়