Cvoice24.com


‘বাবুনগরীকে সরকারের পাশ থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র চলছে’

প্রকাশিত: ১৪:০০, ২৫ অক্টোবর ২০২০
‘বাবুনগরীকে সরকারের পাশ থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র চলছে’

জুনায়েদ বাবুনগরীকে সরকারের পাশ থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ফটিকছড়ির সাংসদ ও তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। রোববার (২৫ অক্টোবর) মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে মাদ্র্রাসার উদ্ভূদ সংকট নিরসন ও সরকারের অবস্থান নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, ‘মরহুম আল্লামা আহমদ শফির পুত্র আনাস মাদানী আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে জামায়াতের এজেন্ট বলেছে। আমি বলছি আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী জামায়াত বিরোধী। তিনি যখন বাবুনগর মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন সেখানে তখন আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ অর্থাৎ আমাদের ঘাঁটি ছিল। আমরা জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। আমিও জামায়াত বিরোধী, আমি জামায়াতের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীও জামায়াত বিরোধী। মাওলানা মহিবুল্লাহ বাবুনগরীও জামায়াতের বিদ্বেষী। সেজন্য মাওলানা মহিবুল্লাহ বাবুনগরীকে শিবিররা মেরে ফেলতে চেয়েছে। জুনায়েদ বাবুনগরীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
বাবুনগরীকে সরকারের পাশ থেকে দুরে সরানোর জন্যই এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আল্লামা আহমদ শফির পর জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্ব সকল কওমী মাদ্রাসা ঐক্যবদ্ধ। 

তিনি বলেন, ‘২৬ অক্টোবর নয় পূর্বে নির্ধারিত আগামী ২৮ অক্টোবর শূরার বৈঠক অনুষ্টিত হবে। বৈঠকে শীর্ষ আলেমগণ যে সিদ্ধান্ত নেবেন সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদ্রাসার পরিচালক নিয়োগ সহ পরবর্তী সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এতে আমাদের সরকার ও প্রশাসন সহযোগিতা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এ ব্যাপারে আমার আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাকে দায়িত্ব নিয়ে শুরা কমিটির বৈঠক আয়োজনে যা যা করার প্রয়োজন তা করতে বলেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংসদ আরও বলেন, এ নিয়ে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি শূরা কমিটির বাইরে গিয়ে কোন কিছু করলে; তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমান সরকার কওমী সনদ দিয়েছে; সরকার কওমী মাদ্রাসার সাথে আগে ও ছিল এখনো আছে থাকবে- যুক্ত করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফিন, ফটিকছড়ি থানার ওসি মো. বাবুল আকতার, নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজ উদ দৌলা, শূরা কমিটির সদস্য আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, রোসাংগিরী ইউপি চেয়ারম্যান শোয়েব আল সালেহীন, জালাল উদ্দিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২৪ অক্টোবর ছাত্র শিক্ষক ও এলাকাবাসীর ব্যানারে মাদ্রাসার মুহতামিম দাবিদার মওলানা সলিমউল্লার পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় ছাত্ররা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পাল্টাপাল্টি শ্লোগান দিতে থাকে এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা মাদ্রাসা অবরোধ করে মাদ্রাসার শূরা কমিটির বৈটকের দাবি জানালে রাতে সাংসদ আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে ছাত্রদের শান্ত হতে বলেন এবং শূরা কমিটির বৈটকের মাধ্যমে সংকট নিরসনের আশ্বাস দেন তিনি।

জানা যায়, নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুহতামিমের পদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রসার দু’পক্ষের সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষ মাদ্রাসার মুহতামিম দাবিদার মওলানা সলিমউল্লাহ, আরেকটি পক্ষ  নাজিরহাট মাদ্রাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমির মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী।

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়