Cvoice24.com


হেফাজত এখন বক্তব্য দিচ্ছে জামায়াতি স্টাইলে : নওফেল

প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ২৯ নভেম্বর ২০২০
হেফাজত এখন বক্তব্য দিচ্ছে জামায়াতি স্টাইলে : নওফেল

‘যুদ্ধাপরাধী জামায়াত যখন খোলস পাল্টানোর চেষ্টা করছে, তখন জামায়াতিদের অনেকেই হেফাজতের ব্যানারে একত্রিত হচ্ছে আর হেফাজত এখন বক্তব্য দিচ্ছে জামায়াতি স্টাইলে।’

রবিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নগরীর গোল পাহাড় মোড়স্থ শহীদ ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিন মহিমের ১৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমন মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রিয় মানুষের মনে বিদ্বেষ ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা ও চর্চা এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারে মাদ্রাসা বোর্ড পুনর্গঠনসহ ইসলাম প্রচারে তাবলীগ জামায়াতকে সরকারিভাবে জমি প্রদান করেন।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী জামায়াত যখন খোলস পাল্টানোর চেষ্টা করছে, তখন জামায়াতিদের অনেকেই হেফাজতের ব্যানারে একত্রিত হচ্ছে আর হেফাজত এখন বক্তব্য দিচ্ছে জামায়াতি স্টাইলে।’

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘একদিকে সরকার কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দিয়ে হাজার হাজার কওমী শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত জীবন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করেছে। অন্যদিকে এ কওমীদের সমর্থিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের এসব নেতা যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন তা প্রকারান্তরে জামায়াতের প্রেতাত্মা হিসেবেই আবির্ভূত বলে প্রমাণ হচ্ছে।’

‘ইসলামীসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র যেখানে নামীদামি ব্যক্তিদের ভাস্কর্য রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশে জাতির পিতার ভাস্কর্য স্থাপন বিষয় তুলকালাম কাণ্ড সৃষ্টির নেপথ্যে নিশ্চয় সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।’- বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।

শিক্ষা উপমন্ত্রী চট্টগ্রামে স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িক বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম রূপকার ও রাজপথের সাহসী নেতৃত্বদানকারী শহীদ ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিন মহিমকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সাথে স্মরণ করেন এবং মহিমকে নৃশংসভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং গোলপাহাড়কে মহিম চত্ত্বর করার ব্যাপারে সকল ধরনের প্রশাসনিক সহায়তা করার জন্য আশ্বাস প্রদান করেন। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চসিক মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক বিশ্বমানের নগরীতে পরিণত করা হবে। যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ যাবতীয় অবকাঠামো উন্নয়ন সাধন করা হবে।’ নির্বাচিত হলে গোলপাহাড়কে মহিম চত্ত্বর ঘোষণা করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও চউক বোর্ড সদস্য এম আর আজিম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও নগর যুবলীগ নেতা নুরুল আনোয়ার।

শোক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা এম ইউনুস, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি, নগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, সাবেক ছাত্রনেতা ও ৩নং পাঁচলাইশ আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী কফিল উদ্দীন খান, সাবেক যুবনেতা জাহাঙ্গীর আলম, ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থী গিয়াস উদ্দীন, ওমর গণি এম ই এস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি এম ইউনুস, সাবেক ছাত্র ও যুবনেতা জসিম উদ্দীন খন্দকার, জামাল খান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা মিথুন বড়ুয়া, সাবেক ছাত্রনেতা আসিফুর রহমান মুন্না, শরফুদ্দীন চৌধুরী রাজু, শওকত উল্লাহ সোহেল, সাবেক ছাত্রনেতা ও নগর শ্রমিক লীগ নেতা আবুল হোসেন আবু, ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী মো. ইব্রাহীম, সাবেক ছাত্রনেতা মেজবাহ উদ্দীন মোরশেদ, ৭নং পশ্চিম ষোলশহর আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা মোবারক আলী, নগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রফিকুল ইসলাম, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, সহ-সম্পাদক সাব্বির সাকির, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভি মুন্না প্রমুখ। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান রোকন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. সালাউদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা শওকত হোসাইন, সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নাজমুল হক ডিউক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নগর যুবলীগ নেতা হাবিবুল্লাহ চৌধুরী নাহিদ, আসহাব রসুল চৌধুরী জাহেদ, সাবেক ছাত্রনেতা এস এম আলম, রাজীব দত্ত রিংকু, সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আশরাফুল আলম, কাজী মোহাম্মদ আলমগীর, জিল্লুর রহমান রায়হান, লেলিন পাল, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জসিম উদ্দীন, মনোয়ার জাহান মনি, সৌদিয়ার মদিনাস্থ আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফজলুল কবির সোহেল, রাশেদুল আজিম রাসেল, কাজী নুরুল আমিন মামুন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আলমগীর আলম, শিবু প্রসাদ চৌধুরী, মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ শিবলী, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আলী রেজা পিন্টু, যুবনেতা এসরারুল হক, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ সুমন, মো. সেলিম, বেসরকারী কারা পরিদর্শক ও নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াসির আরাফাত কচি, নগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ফখরুল আহমেদ পাভেল, একরামুল হক রাসেল, মইনুল হোসেন চৌধুরী শিমুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চৌধুরী বাবু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আবুল মনসুর টিটু, কবীর আহমেদ, এম এ হালিম সিকদার মিতু, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিম, মুহসীন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার পলাশ প্রমুখ।

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়