Cvoice24.com

পাখির সঙ্গে পুলিশকর্তার প্রেম

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৩১, ৫ মার্চ ২০২১
পাখির সঙ্গে পুলিশকর্তার প্রেম

তোতাপাখি বা টিয়া— যে নামেই ডাকিনা কেন, সৌন্দর্যের কারণে সবার কাছে পাখিটি খুবই প্রিয়! বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পাখিগুলোর মধ্যে অন্যতম তোতাপাখি। এর প্রজাতি রয়েছে ৩২০টিরও বেশি। এদের মধ্যে প্যারাকেটস, লরিকেটস, লাভবার্ডস, কাকাতোয়াস, ককটিয়েলস, ম্যাকো, আমাজনস, গলাহস অন্যতম। 

বিশ্বজুড়ে উষ্ণ অঞ্চলে অধিক পরিমাণে এদের দেখতে পাওয়া যায়। যদিও বিশ্বজুড়ে তোতাপাখির চেহারা, রঙ এবং অভ্যাস ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। তবে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ধারণ করে এরা। যেমন এদের সবারই বাঁকা ঠোট। উঠপিকারদের মতো তারা জিগোড্যাক্টাইলস, যার অর্থ তাদের পায়ে চারটি আঙ্গুল রয়েছে। দুটি থাকে সামনের দিকে এবং দুটি থাকে পশ্চাতদিকে। এর সাহায্যে তোতাপাখিরা গাছের কাণ্ড এবং শাখা সহজে আকড়ে ধরতে পারে। 

সাধারণত এসব পাখি গাছের গর্তে বাসা তৈরি করে। বেশিরভাগ তোতাপাখি ফল, ফুল, বাদাম ও বীজ খেয়ে বেঁচে থাকে। কিছু প্রজাতি আবার ছোট পোকামাকড় খায়। কিছু প্রজাতি বিভিন্ন উপায়ে মানুষের আচরণের প্রতি পারস্পরিক অনুগ্রহ প্রদর্শন করে।

বাংলাদেশে রয়েছে সাত প্রজাতির তোতাপাখি— রিং নেকড প্যারাকিট, প্লামহেডেড, ব্লসোম হেডড, রেড ব্রেস্টেড, গ্রে হেডেড, ভারনাল হ্যাংগিং এবং অ্যালেক্সান্ড্রিন প্যারোটস। সম্ভবত সবচেয়ে চমৎকার ভার্নাল হ্যাংগিং তোতাপাখি হয়। এরা অত্যন্ত ছোট কিন্তু দ্রুতগামী।

পাখি প্রকৃতিতে সৌন্দর্যের প্রতীক। পরিবেশের বন্ধু। বাংলাদেশে রয়েছে তোতাপাখিসহ নানা ধরনের পাখির এক অনবদ্য বৈচিত্র্য, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের সবার উচিত এদের সংরক্ষণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। একই সঙ্গে পাখিদের প্রতি সদয় এবং যত্নবান হওয়া। 

এরকম এক পাখি প্রেমি পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা মনজুর মোরশেদ। নিজের অফিস আঙ্গিনায় যেন পাখির মেলা বসে, তাদের জন্য করেছেন আহারের ব্যবস্থা। নির্ভয়ে তাই মনের আনন্দে তোতাপাখিগুলো প্রতিদিনই ছুটে আসে নগরের ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদের গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম-বন্দর) কার্যালয়ের আশপাশের গাছগুলোতে। 

নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপকমিশনার হিসেবে বদলি হওয়া এ পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনারের। নতুন কর্মস্থলে যোগদানের আগে বিদায় বেলায় তার আঙ্গিনার নিত্যসফরকারী তোতাপাখিদের ক্যামেরায় বন্দি করেন সৌখিন আলোকচিত্রী মনজুর মোরশেদ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়