Cvoice24.com

আত্মসমালোচনা ও কটাক্ষের সুযোগ নেই: নাছির

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ৭ মার্চ ২০২১
আত্মসমালোচনা ও কটাক্ষের সুযোগ নেই: নাছির

বক্তব্য রাখছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন,  আমাদের মাঝে আত্মসমালোচনা ও কটাক্ষ আছে। এগুলোর সুযোগ নেই। কিছু অবাঞ্ছিত ব্যক্তি এখন আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ। এরা মিটিং মিছিলে আসেন না, বড় বড় কথা বলেন, ব্যানার ও পোস্টার ও সংবাদপত্রে বিবৃতিতে থাকেন সরব। তারা কখনো তৃণমূল নয়, সুযোগসন্ধানী। 

নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন উপলক্ষে বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

দেশ ও দলকে নিয়ে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে তৃণমূলকে সংগঠিত হতে হবে। ৭ মার্চ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অবিনাশী শক্তি। যেই শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা হিম্মত রাখি যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে মোকাবেলা করবো এবং দেশ থেকে তাদের নির্মূল করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।  

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ একটি ঐতিহাসিক অর্জন। তাই এ দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আজকের বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশের অভিধায় অভিষিক্ত হয়েছে। এটা আত্মতৃপ্তি নয়, ধৈর্য ও নিষ্ঠায় এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিকে বিশ্বে একটি মর্যাদা এনে দিয়েছে।  


মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, ৭ মার্চ বাঙালি জাতিসত্তার জাগরণের ঐতিহাসিক দলিল। এ দিনটি জাতীয় দিবস পালনের সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আমরা ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারিনি। এ ব্যর্থতা স্বীকার করে আগামীতে এই দিনটিকে সম্মান ও শ্রদ্ধায় অভিষিক্ত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের সজাগ হতে হবে।  তিনি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা যদি কেউ না মানেন তিনি অবশ্যই দলীয় প্রতিপক্ষ। যাদের সমর্থনে দলে অনুপ্রবেশ করেছেন তারা অবশ্যই দলের নীতি আদর্শচ্যুত হবেন। এদের যারা প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। আজ তারাই আমাদের প্রতিপক্ষ।  

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাবেক চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আমিনুল হক, বেলাল আহমেদ, থানা আওয়ামী লীগের মো. আবু তাহের, মো. ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সৈয়দ মো. জাকারিয়া, রফিকুল হোসেন বাচ্চু, কায়সার মালিক, মো. মুছা, কাউন্সিলর আশরাফুল আলম।  

উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, মো. হোসেন, মাহবুবুল হক মিয়া, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, মো. শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কিষাণ চৌধুরী, বখতিয়ার উদ্দিন খান, মহব্বত আলী খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, থানা আওয়ামী লীগের ফিরোজ আহমেদ, ছিদ্দিক আলম, অধ্যাপক আসলাম হোসেন, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবুল হাশেম বাবুল, আমিনুল হক রঞ্জু, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ইকবাল হাসান, মোছলেম উদ্দিন, নুরুল আজিম নুরু, মো. ইয়াকুব, শামসুল আলম, মো. হাসান, ফয়েজ উল্লাহ বাহাদুর, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সুলতান নাসির উদ্দিন, মো. ইসকান্দর মিয়া, গোলাম মো. জোবায়ের, ইকবাল চৌধুরী, মো. জানে আলম, আকবর আলী আকাশ, ইফতেখার আলম জাহেদ প্রমুখ।  

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়