Cvoice24.com

জয়ের মুকুট আওয়ামী লীগের ৭ ‘বিদ্রোহী’র

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ২৭ জানুয়ারি ২০২১
জয়ের মুকুট আওয়ামী লীগের ৭ ‘বিদ্রোহী’র

জয়ের মুকুট আওয়ামী লীগের ৬ ‘বিদ্রোহী’র।

দলীয় হাইকমান্ড থেকে বারবার হুংকার দেওয়ার পরও যারা জনগণের ওপর ভরসা করে মাটি আঁকড়ে ছিলেন তাদের মধ্যে এবার চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৭ জন পড়েছেন বিজয়ের মালা। যদিও নানা অভিযোগ তুলে যাদেরকে চসিক নির্বাচনে দলের সমর্থন বঞ্চিত করেছিল।নবাগত ৪ জনের পাশাপাশি সদ্য সাবেক তিন কাউন্সিলরও আছেন বিজয়ীদের তালিকায়।

সংঘাত ও সহিংসতায় ভরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত ৩৯টি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও নিজ দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোটে জিতেছেন ৭ বিদ্রোহী। তারা হলেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে হাজী শফিকুল ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এসরারুল হক, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে হাসান মুরাদ বিপ্লব, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জহুরুল আলম জসিম, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোরশেদ আলী, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ ইলিয়াস।

২ নম্বর ওয়ার্ডে সাহেদ ইকবাল বাবু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিএনপির ইয়াকুব চৌধুরীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সাথে। মূলত বাবুর সাথে লড়াইটা হয়েছিল ইব্রাহিমের সাথে। সেই লড়াইয়ে জিতেছেন কথিত বিদ্রোহী প্রার্থী সাহেদ ইকবাল বাবুই।

৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা হাজী শফিকুল ইসলাম দলের মনোনয়ন না পেলেও ভোটের লড়াইয়ে জিতেছেন সাবেক কাউন্সিলর শফী। তিনি বিএনপির প্রার্থীর পাশাপাশি লড়েছেন সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী কফিল উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে। 

৪ নম্বর ওয়ার্ডে এসরারুল হকের দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান থাকলেও কোনও পদ পদবীতে ছিলেন না তিনি। তবুও যুবলীগ-ছাত্রলীগের সাথে ছিলেন তিনি। এবার চান্দগাঁও ওয়ার্ডে বিএনপির মাহবুবুল আলমের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুদ্দীন খালেদ ও সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ভাতিজা আনিসুর রহমানের সাথে লড়েছেন ভোটের লড়াইয়ে। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথমবারের ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন যুবনেতা এসরারুল হক। 

চসিক নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন। কেননা সেখানে হটফেভারিট যুবলীগ নেতা সদ্য সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লবকে সমর্থন না দিয়ে দেওয়া হয়েছিল নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। শুরু থেকে এ কেন্দ্রে উত্তাপ থাকলেও শেষ পর্যন্ত বড় কোনও সহিংসতা ছাড়াই এ ওয়ার্ডে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাবেক দুই ছাত্রনেতা লড়াইয়ে জিতেছেন হাসান মুরাদ বিপ্লব। 

৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে দল থেকে হাজী জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও বিজয়ী হয়েছেন যুবলীগ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী মোর্শেদ আলী। 

২৬ নম্বর ওয়ার্ডে নগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেনকে পরাজিত করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের কথিত বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াস।

৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলীতে নানা অপরাধের সাথে জসিম উদ্দিনের নাম যেমন জড়িত তেমনি এলাকায় রয়েছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তাও। তবুও গেল বার নির্বাচনে মনোনয়ন জুটেনি সদ্য সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের। কিন্তু মনোনয়নেই থেমে না থেকে করেছেন নির্বাচন। গায়ে বিদ্রোহীর তকমা নিয়ে বিপুল ভোটে তিনি পরাজিত করেছেন বিএনপি প্রার্থীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নুরুল আফসার মিয়াকেও। 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়