Cvoice24.com

চসিক নির্বাচন বাতিল চেয়ে শাহাদাতের মামলা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
চসিক নির্বাচন বাতিল চেয়ে শাহাদাতের মামলা

আদালতে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি দায়ের করেন ডা. শাহাদাত।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নবনির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিএনপির হয়ে মেয়র পদে লড়া ডা. শাহাদাত হোসেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট কারচুপির অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

পাশাপাশি সদ্য অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচন বাতিল চেয়ে পুননির্বাচন দাবি করা হয়েছে আরজিতে। চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল) খায়রুল আমীনের আদালতে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় মামলাটি দায়ের করেন ডা. শাহাদাত। মামলার বাদী মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আরজিতে ২৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ধরা হয়। সেই সঙ্গে নগরীর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের ভোটের হিসাবের গড়মিল, ভোটার উপস্থিতির হারসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করা হয়। এ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত নির্বাচনের গেজেট বাতিল করে আবারো নির্বাচন দেয়ার দাবি করা হয়েছে আরজিতে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা, ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, চসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী (হাতি প্রতীক) খোকন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর মেয়র প্রার্থী (মোমবাতি প্রতীক) এমএ মতিন, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি এর মেয়র প্রার্থী (আম প্রতীক) আবুল মনজুর, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মেয়র প্রার্থী (চেয়ার প্রতীক) মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মেয়র প্রার্থী (হাতপাখা প্রতীক) মো. জান্নাতুল ইসলামকে ওই মামলায় বিবাদী করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের পর ডা. শাহাদাত সাংবাদিকদের বলেন, ‘চসিক নির্বাচনে ভোটের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪-৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু দিন শেষে সাড়ে ২২ শতাংশ ভোট দেখানো হয়েছে। নির্বাচনের দিন প্রতিঘণ্টার ভোটের হিসাব দেখতে চেয়েছিলাম। ৭ দিন সময়ও দিয়েছি। কিন্তু ১০ দিন পরেও এই তথ্য নির্বাচন কমিশন দিতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে ৪ হাজার ৮৮৫টি ইভিএম ব্যবহার করা হয়। সেখানে মাত্র ১০টি বুথে ইভিএমের প্রিন্টেড কপি দেওয়া হয়েছে। যদি ১০টি বুথের ইভিএমের প্রিন্টেড কপি থাকে তাহলে সবগুলো ইভিএমের প্রিন্টেড কপি থাকার কথা। কিন্তু তারা এটা দেখাতে ব্যার্থ হয়েছে।’

ডা. শাহাদাত আরও বলেন, ‘ভোট কারচুপির অভিযোগ এবং বির্তকিত নির্বাচন বাতিল করে নতুন তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নিরপেক্ষভাবে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ৯ জনকে বিবাদী করে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

শতভাগ ইভিএমে নেওয়া চট্টগ্রাম সিটির ভোট হয় গত ২৭ জানুয়ারি। এতে আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রেজাউল করিম বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়