Cvoice24.com

হেফাজতে ধরপাকড় আজিজুল থেকে মামুনুল

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ১৮ এপ্রিল ২০২১
হেফাজতে ধরপাকড় আজিজুল থেকে মামুনুল

গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সারাদেশে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজতের যেসব নেতা ইন্দন দিয়েছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দলটির শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সর্বশেষ গ্রেপ্তারের তালিকায় যুক্ত হলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক।

আজ রবিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে। তাকে ২০১৩ সালের ৫ মে সংঘটিত শাপলা চত্বরের তাণ্ডবের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে এখন তেজগাঁও ডিসি অফিসে নেয়া হয়েছে। সেখান থেকে পাঠানো হবে ডিবি অফিসে। তারপরে আদালতে নেয়ার কথা রয়েছে।

গতকাল দুপুরে হেফাজতে ইসলামের সহকারী মহাসচিব এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে তার নিজ বাসা মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতা এবং হেফাজতের পুরনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জালাল উদ্দিন খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্বেও রয়েছেন।

একইদিন বিকেলে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ জুনায়েদ আল হাবীবকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার বিকেল (১৭ এপ্রিল) সাড়ে পাঁচটায় বারিধারা জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জুনায়েদ আল হাবীব কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্ব ছাড়াও তিনি ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লালবাগের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা জুবায়ের আহমেদকে। জুবায়ের আহমেদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে ও সম্প্রতি সহিংস ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। তিনি মামলার আসামি বলেও জানান ঢাকা মহানাগর গোয়েন্দা পুলিশ।

গত ১৪ এপ্রিল (বুধবার) হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রীন রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

একইদিন বুধবার (১৪ এপ্রিল) গ্রেপ্তার হন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর লালবাগের নিজ বাসার সামনে থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে।

সম্প্রতি হেফাজতে ইসলাম আন্দোলনের নামে যেসব তাণ্ডব চালিয়েছে সেসব ঘটনায় রাজধানীর একাধিক থানায় কয়েকটি মামলা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে কয়েকটি মামলায় মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন রাজীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতালে নেতৃত্ব দিয়ে সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুফতি বশির উল্লাহকে। ১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাত ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় লন্ডন মার্কেট এলাকায় বশির উল্লার নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

একইদিন মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ির মীরহাজিরবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় মুফতি শরিফউল্লাহ গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে নাশকতার পরিকল্পনা, ধর্মীয় উগ্রবাদিতা ছড়ানো, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হন হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি ইলিয়াস হামিদী। গত ১২ এপ্রিল (সোমবার) রাতে কেরাণীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলা হলে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ১১ এপ্রিল (রবিবার) হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হন। রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বৈঠক শেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আজিজুল হক ইসলামাবাদী তিনি সংগঠনটির মুখপাত্র ও শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একজন।

এর আগেরদিন শনিবার (১০ এপ্রিল) গ্রেপ্তার হন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হেফাজত ইসলামের অন্যতম নেতা লোকমান হোসেন আমিনী। ফেসবুকে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেয়া এবং হেফাজতের ডাকা হরতালে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার অভিযোগে শনিবার রাতে তাকে মতূর্জাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়