Cvoice24.com

করোনায় শ্রমজীবী মানুষের জন্য কোনো বরাদ্দ দেয়নি সরকার : নোমান

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩৬, ২৪ জুলাই ২০২১
করোনায় শ্রমজীবী মানুষের জন্য কোনো বরাদ্দ দেয়নি সরকার : নোমান

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, চলমান ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনে অনেক শ্রমিক কর্মচারী, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়াতে সাধারণ দিন আনে দিন খাওয়া মানুষগুলো অসহায় অবস্তার মধ্যে আছে, অনেকে না খেয়ে আছে। সরকার এ বিষয়ে কোনো বাস্তব কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। তারা একটা প্যাকেজ দিয়েছে যে, প্যাকেজে শুধুমাত্র যারা বিত্তশালী, যারা বিভিন্ন ব্যাংক ও গার্মেন্টসের সঙ্গে জড়িত তাদের জন্যে এই প্যাকেজগুলো করা হয়েছে। সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। 

শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের উদ্যোগে আব্দুল্লাহ আল নোমানের পক্ষ থেকে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরনকালে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নোমান আরও বলেন, বিএনপি জনগনের দল হিসাবে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। তাই আমি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এই অসহায় মানুষগুলোকে রান্না করা খাবার বিতরন করেছি। অসহায় শ্রমজীবী মানুষের সাহায্যে বিত্তশালী ধনি ব্যক্তিদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

তিনি বলেন, সরকার এক ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানকে টিকা সরবরাহের একচেটিয়া সুবিধা দিতে গিয়ে সমগ্র জাতিকে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। প্রথম থেকেই ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও টিকা কেনার পরিকল্পনা নিলে আজ এই অনিশ্চয়তায় পড়তে হতো না। করোনার এই ভয়াবহ বিস্তার ঘটতো না। সরকারের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে আজকে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কারন যারা স্বাস্থ্য ও টিকার সঙ্গে জড়িত এরা সবাই দুর্নীতিতে জড়িত হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে তারা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির সব সীমা অতিক্রম করেছে সরকার। দুর্নীতির মাধ্যমে মানুষের জীবনকে তারা মূল্যহীন করে ফেলেছে। তাই তিনি করোনা মোকাবেলায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পড়ার আহ্বান জানান।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, করোনায় কর্মহীন অসহায় পরিবারগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের, ত্রাণ সহযোগিতা না দেয়ার কারণে তারা আজকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকারের দুর্নীতি আজকে সারা দেশকে গ্রাস করেছে। দুর্নীতি, দুঃশাসন ও প্রশাসনের উদাসীনতা কারণে মজুদকারীরা জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। 

দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ ও মধ্যবিত্তের পরিবারের অবস্থা খুবই শোচনীয়। করোনা মহামারী ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সরকারী লকডাউনে আজ সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। আর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সমাজের হতদরিদ্র, শ্রমিক, দিনমজুর মানুষ আজ খুব অসহায়। তাই সমাজের ধনী ও বিত্তবানদের এই হতদরিদ্র মানুষে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান ডা. শাহাদাত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা করোনা মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন হওয়ার কথা বলছে। অথচ সরকার লকডাউন একবার শিথিল করছে আবার কঠোর করছে, আবার জনগণকে সচেতন হতেও বলবে। এ থেকে বোঝা যায় তাদের ভিতরে কোন সমন্বয় নেই। এসি রুমে নিজেদেরকে নিরাপদে রেখে তাদের যেমন খুশি তেমন কথা বলে জনগণকে বিপদের মুখে ফেলছে। অথচ শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় বিএনপি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামীতেও একইভাবে শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপি'র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম এ সবুর। 

বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আর ইউ চৌধুরী শাহীন, কোতোয়ালি থানা বিএনপি'র সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সি.সহ সভাপতি শ. ম. জামাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সাবেক শ্রম সম্পাদক গাজী আইয়ুব আলী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিম স্বপন, সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহ স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক আরিফ মেহেদি, বাকলিয়া থানা শ্রমিকদলের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী,  শ্রমিকদল নেতা রফিকুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান বিপ্লব, দেলোয়ার হোসেন, মো. ফারুক, আবদুল আজিজ, মো. কামাল উদ্দিন প্রমূখ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়