Cvoice24.com

লকডাউন থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বললেন সুজন

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৫১, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
লকডাউন থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বললেন সুজন

নগরের পাহাড়তলী কাঁচাবাজারে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছেন চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

লকডাউন থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে বলে নগরবাসীকে সতর্ক করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। 

রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরের পাহাড়তলী কাঁচাবাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে এমন সতর্ক বার্তা দেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব আরোপ করে সবসময়ই সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল মহল। কিন্তু মাস্ক না পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা এবং সামাজিক সংঘবদ্ধতা থেকে দূরে থাকতে না পারার কারণে করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের হার কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। পাশাপাশি টিকা দানের মাধ্যমেও করোনা নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। 

সুজন বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে বিশ্ব রাজনীতির মাঝেও সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহ করছে। করোনা সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কমতে থাকায় সরকার অর্থনীতির স্বার্থে লকডাউন শিথিল করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। বিশেষজ্ঞগণ বারবার সতর্ক করছেন— টিকা দেওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কারণ ডাবল ডোজ দেওয়ার পরও অনেকে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নাই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, মানুষ অহরহ মাস্ক ছাড়া ঘুরাঘুরি করছে। বিয়ে-শাদি, বিনোদন কেন্দ্র ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিতে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি উপেক্ষা করে ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

বেপরোয়া চলাফেরা, সামাজিক অনুষ্ঠান বৃদ্ধি, মাস্ক না পরার প্রবণতা আবারো করোনা সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। 

খোরশেদ আলম সুজন আরও বলেন, আমরা যদি আন্তরিকতার সাথে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে পারি তাহলে দেশে করোনা সংক্রমণ বর্তমানে যে হারে আছে তার চাইতে আরো কমতে বাধ্য। আর জনগণ যদি মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাকে অভ্যাসে পরিণত করতে পারে তাহলে তাই বুস্টার ডোজের কাজ করবে। সুতরাং সবাইকে নিজের এবং নিজের পরিবারের জীবন রক্ষার্থে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে, এর কোন বিকল্প নাই। কিন্তু যদি আমরা এসব বিধিগুলো মানতে ব্যর্থ হই তাহলে সরকার জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পুনরায় লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। এতে করে সকলেই অসুবিধায় পড়তে পারে। 

তিনি বলেন, লকডাউনে বিশেষ করে গরীব, দিনমজুরসহ মধ্যআয়ের জনগনরা কষ্টের মধ্যে পড়েন। আমরা সঠিক নিয়মে মাস্ক পরাকে যদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে মানিয়ে নিতে পারি তাহলে করোনাভাইরাসকে আমরা পরাজিত করতে পারবোই। তিনি উপস্থিত ক্রেতা, বিক্রেতাদের পাশাপাশি জনসাধারণকে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন এবং বিনয়ের সাথে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানান। 

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব সাব্বির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আরিফ খান, পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, ফরহাদ আহমেদ, মো. শাহজাহান, মো. মনসুরুল হক, মো. বাবলু প্রমুখ।

-সিভয়েস/এএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়