Cvoice24.com

আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে জনগণ অংশ নেয়নি: শামীম

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:২০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে জনগণ অংশ নেয়নি: শামীম

‘ভরাডুবি এড়াতে বিএনপি নির্বাচন থেকে দূরে সরে গেছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ সরকারের পাতানো নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করেনি। আওয়ামী লীগকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করে ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে জনগণ ভোট ডাকাতির প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের দলের ভোট ডাকাতেরাই সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনগুলোতে ভোট কেন্দ্র দখল করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরা গোলাগুলি করে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করেছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা এখন স্বীকার করছে, এসব নির্বাচনগুলোতে ভোট ডাকাতির কথা। বিগত দিনের মতো এবারও মানুষ দেখেছে, নির্বাচনের আগেই বিনা ভোটে চেয়ারম্যান আর মেয়র হয়েছে। আর এসবই হচ্ছে গণতন্ত্রহীনতার লক্ষণ। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই এই অগণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোন নির্বাচন এদেশে আর হবে না। 

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ী যুগী চাঁদ মসজিদ লেইনস্থ আলী টাওয়ারে সদরঘাট থানা বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অতীতে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে তামাশার নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিবে না। নির্বাচন কমিশন সরকারের হাতের পুতুল হিসেবে অতীতের সকল নির্বাচনে কাজ করেছে। ভবিষ্যতে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে আগামীর নির্বাচন হতে হবে। 

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের জন্য এটা সম্ভব হয়নি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা সংসদে পাস করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তত্ত্ববধায়ক সরকারের বিধানকে এক তরফাভাবে বাদ দিয়েছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল, এমনকি আওয়ামী লীগও ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে ছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করে সেটাকে বাদ দিয়েছে শুধু আওয়ামী লীগের দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করার জন্য। যে নির্বাচনে আগের রাতে ভোটকেন্দ্র দখল করা হবে। আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্যই শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা বাদ দিয়েছে। কারণ, এই আওয়ামী লীগ চায় দেশে একটি মাত্র দল থাকবে, একটি মাত্র পরিবার থাকবে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এ জন্য সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশন ও সরকার দায়ী। নির্বাচন কমিশন শুধু ব্যর্থই নয়, তাদের যোগ্যতাই নেই। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে আবারও প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ বা দলীয় সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি দলের নেতাকর্মীদের তৃণমূল পর্যায়ে সুসংগঠিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। 

সদরঘাট থানা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. সালাউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এস.এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, জামান, মো. কামরুল ইসলাম। 

একে আরও বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপি নেতা মশিউল আলম স্বপন, মো. আলী, নুর উদ্দীন হোসেন, থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম, সহ-সভাপতি ওমর ফারুক রুবেল, মো. নাছির উদ্দীন, আজিজুল ইসলাম বাদল, মো. ইলিয়াছ, সি. যুগ্ম সম্পাদক কায়সার হোসেন বাবু, যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম (১), জাহেদুল ইসলাম (২), ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এম.এ মুছা বাবলু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, বিএনপি নেতা এড. মাহবুব, মাহবুব আলম, মো. শাহজান, আবদুল আজিজ, রবিউল ইসলাম, ইলিয়াছ রাশেদ, আলমগীর সিরাজ, আইয়ুব খান, আজগর খান প্রমুখ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়