Cvoice24.com

বিএনপির সমাবেশ সরকারের জন্য ১০ নম্বর বিপদ সংকেত: মীর নাছির

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:২০, ১২ আগস্ট ২০২২
বিএনপির সমাবেশ সরকারের জন্য ১০ নম্বর বিপদ সংকেত: মীর নাছির

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মহানগর বিএনপি। এই সমাবেশকে সরকারের জন্য ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দাবি করে এর ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের আন্দোলনের চূড়ান্ত সফলতা আসবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নেতারা।

সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়াম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেছেন, পৃথিবীর কোথাও এক লাফে এত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নজির নেই। কুইক রেন্টালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে সরকার ভর্তুকি দিয়ে দেশের রিজার্ভ খেয়ে ফেলছে। দেশটাকে আওয়ামী লীগ দেউলিয়া করে দিয়েছে। গতকাল ঢাকায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির সমাবেশ ছিল ৭ নম্বর বিপদ সংকেত। আর চট্টগ্রামের সমাবেশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত। আওয়ামীলীগের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। তারা ১৯৭৫ সালেও গণতন্ত্র হত্যা করে মনে করেছিল সারাজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকবে। কিন্তু পারেনি। জনরোষের মুখে সরকারের পতন হয়েছে। 

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এ সমাবেশ হয়।  বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে সমাবেশস্থল নাসিমন ভবনের মাঠ পূর্ণ হয়ে কাজীর দেউড়ি মোড় থেকে লাভ লেইন পর্যন্ত পুরো নুর আহম্মদ সড়কে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। 

এসময় মীর নাছির বলেন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী গত ৭ বছরে দেশ থেকে ২৭০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব আছে ২৩৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার। বাকি ৩০ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার কোথায় গেল? আজকে জাতি এটা জানতে চায়। এটা একটা বিরাট শুভংকরের ফাঁকি, বিরাট ডাকাতি, বিরাট লুটের একটা চিত্র।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগনের সরকার নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরকার। বাহিনীর আশ্রয়ে তারা টিকে আছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাদেরকে রাস্তায় নামতে দিবে না। রাস্তায় নামলে জনগণ তাদের লাঠিপেটা করবে।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকের জ্বালানি সংকট, অর্থনৈতিক সংকট, বিদ্যুতের লোডশেডিং, বিদ্যুতের সংকট সবকিছুর মূলে এই সরকারের দুর্নীতি। লুটপাট ও চুরি করে সরকার দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। 

বর্তমান সরকার টিকেই আছে মানুষকে প্রতারণা করে, এমন মন্তব্য করে ডা. শাহাদাত বলেন, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। তাদের নিজস্ব লোকজনকে মুনাফা পাইয়ে দিয়েছে। আজকে বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট, বাংলাদেশ যে দেউলিয়াত্বের দিকে যাচ্ছে, তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী এই আওয়ামী লীগ সরকার। এর জবাব তাদের দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও পেট্রোলিয়াম করপোরেশন দাম না কমিয়ে পাঁচ বছর ধরে লাভ করেছে। এতে তাদের লাভ ছিল প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। সেই মুনাফা তারা কী করেছে?

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, বাজারে গিয়ে আলু চাল কিনতে পারছে না, তখন জ্বালানি তেলের দাম আরও বাড়িয়ে দেওয়া অমানবিক ও নিষ্ঠুরতা। বর্তমান সরকার জেনেশুনে দেশকে ধ্বংস করছে। সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। একটি সরকারের যখন কোনো জবাবদিহি থাকে না, জনগণের সামনে দাঁড়াতে হয় না, তখন মানুষের কী হলো না হলো, মানুষ মরল কি বাঁচল, এটা তাদের কাছে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ায় না।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. শাহ আলমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক  এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ম‌হিলা দল‌ের ম‌নোয়ারা বেগম মনি, জে‌লি চৌধুরী, শ্রমিক দ‌লের শেখ নুর উল্লাহ বাহার, শামসুল আলম (ডক), থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, সরফরাজ কাদের রাসেল, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর ছাত্রদ‌লের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস‌্য স‌চিব শ‌রিফুল ইসলাম তুহীন, জাসসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস‌্য স‌চিব মামুনুর র‌শিদ শিপন, কৃষক দ‌লের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস‌্য স‌চিব কামাল পাশা নিজামী, মৎস্যজীবী দ‌লের আহবায়ক হাজী নরুল হক, তাঁতী দ‌লের আহবায়ক ম‌নিরুজ্জমান টিটু, সদস‌্য স‌চিব ম‌নিরুজ্জমান মুরাদসহ মহানগরীর ৪৩‌টি ওয়ার্ড বিএন‌পির সভাপ‌তি ও সাধারণ সম্পাদ‌কের নেতৃত্বে মি‌ছিল নি‌য়ে প্রতিবাদ সমা‌বে‌শে অংশ নেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়