Cvoice24.com

থানা ওয়ার্ড জেলায় একযোগে ৯দিনের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ১৯ আগস্ট ২০২২
থানা ওয়ার্ড জেলায় একযোগে ৯দিনের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি

জ্বালানি তেল, পরিবহণ ভাড়াসহ সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী ৯ দিনের টানা বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর আওতায় টানা ৯ দিন দেশের সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে টানা কর্মসূচি নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। 

এর মধ্যে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুয়ায়ী চট্টগ্রামে তাদের কর্মসূচি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নেরও চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করার কথা জানিয়েছে দলটির নেতারা। 
তারা বলছেন, মানুষকে তাদের অধিকার সচেতনতার কথা জানিয়ে দিতে একযোগে সারা দেশে মাঠে থাকবেন তারা। তবে কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে ২০ আগস্ট চটগ্রাম মহানগর , উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাও ডাকা হয়েছে দলীয় কার্যালয়ে। আগামী ২২ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৯ দিনের এই কর্মসূচি রূপরেখা সেখানেই চূড়ান্ত কর হবে।

টানা ৯ দিনের কর্মসূচির বিষয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান সিভয়েসকে বলেন, ‘মহানগর ও জেলা ইউনিটগুলো থানাতে কর্মসূচি দিবেন এবং বাস্তবায়ন করবেন। একইভাবে থানার নেতারা ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে কর্মসূচি দিবেন। ৯ দিনের প্রতিদিন কোন না কোন থানায় একইভাবে ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে কর্মসূচি থাকবে।’

কী ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে আবু সুফিয়ান বলেন, ‘বিক্ষোভ মিছিল, সভা ,সমাবেশ , লিফলেট বিলি এসব কর্মসূচিই থাকবে। যেখানে যেটা ভাল হবে সেই কর্মসূচিই গ্রহণ করা হবে। ধরুন আমরা জেলার নেতারা একটা থানায় প্রোগ্রাম করছি। একই দিন বাকি থানার নেতারা তাদের থানার একটা ইউনিয়নে কর্মসূচি করবে। আবার থানার নেতারা যে ইউনিইয়নে করবে সেটা বাদে থানার বাকি ইউনিয়নগুলো তাদের কোন একটা ওয়ার্ডে কর্মসূচি করবে। এভাবেই প্রতিদিন একযোগে নগর, জেলা , থানা , ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে কর্মসূচি পালিত হবে টানা ৯ দিন।’

নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রীস আলী সিভয়েসকে বলেন, ‘এর আগেও আমরা ৪১ ওয়ার্ডে একই দিন একযোগে মোমবাতি মিছিল করেছি। এবারে সেটা থানা পর্যায়েও করবো। এছাড়া এখনো আমরা প্রতিদিন দুইটা ইউনিটে সম্মেলন করছি। এর ফলে একদম তৃনমূল থেকে আমরা সংগঠনকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করতে সক্ষম হচ্ছি। এবারে আমাদের মূল লক্ষ্য জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও এর পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে সকল মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়া।’

গত ১৬ আগস্ট দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল আমিন রিজভী সাক্ষরিত একটি চিঠিতে ৯ দিনের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে ৪ দফা নির্দেশনা দিয়ে একটি চিঠিও দলটির জেলা কমিটির শীর্ষ নেতাদের পাঠানো হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে একাত্ম করার বিষয়ে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের স্ব স্ব ইউনিটের নেতৃবৃন্দ কর্মসূচী সফল করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন। এ বিষয়ে স্ব স্ব সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সার্বিক সমন্বয় করবেন এবং ইউনিট সমূহকে নির্দেশ প্রদান করবেন। 

কর্মসূচি পালনের বিষয়ে প্রশাসনের সাথে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমরা বড় প্রোগ্রামগুলোর ব্যাপারে প্রশাসনকে অবহিত করি। এমনি এসব কর্মসূচিতে বলার কোন কারণ দেখিনা। তবু এটা নিয়ে আমরা ভাববো।’

কর্মসূচি পালনে প্রশাসন কিংবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের তরফ থেকে কোন বাধা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবু সুফিয়ান বলে, ‘বাধাতো বরাবরই ছিলো। এখনো আছে। কিন্তু তারা বাধা দিলে আমাদের কি করার আছে? আমরা কী আমাদের কর্মসূচি পালন করবো না?’

তবে এক্ষেত্রে খানিকটা ভিন্ন বক্তব্য বিএনপির উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেনের। সিভয়েসকে তিনি বলেন, ‘পুলিশের সদস্যরাও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেকে কষ্টে আছে। আমার যে কর্মসূচি সেটা তার ভোগান্তি নিয়েও। এটা তাদের অনেকে বুঝতে পারছে। তাই তারা এবারের কর্মসূচিতে সেভাবে বাধা দিচ্ছেনা।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়