Cvoice24.com

জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানালেন কৃষক লীগ নেতা ফয়েজুল

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানালেন কৃষক লীগ নেতা ফয়েজুল

প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মো. ফয়েজুল ইসলাম

তৃণমূল, ত্যাগী নেতাদের পাশ কাটিয়ে ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও মামলার আসামিসহ বিতর্কিতদের কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের কমিটিতে পদ দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলন মো. ফয়েজুল ইসলাম। তবে শেষমেশ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন করেন। 

এর আগে গতকাল রাতে নৌকার প্রার্থী পেয়ারুল ইসলাম ফুল নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়েজুল ইসলামের বাসায় দেখা করেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ওই বৈঠকে ফয়েজুল ইসলামের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের বিষয়ে সুরাহা হয়।

প্রার্থীতা প্রত্যাহারের করে নেওয়া মো. ফয়েজুল ইসলাম তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে চেয়ারম্যান পদ থেকে নাম প্রত্যাহার করে করে নিলাম।’

তবে সিভয়েসের কাছে মনোনয়ন নেওয়া এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন মো. ফয়েজুল ইসলাম ইসলাম।

তিনি সিভয়েসকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে কিছু ব্যক্তির কারণে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ বিতর্কিত হয়েছিল। তবে কৃষক লীগ সব ধরণের বির্তকের ঊর্ধ্বে ছিল। কিন্তু কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম সাধারণ নির্বাচিত হওয়ার পর তৃণমূল, ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে অনুপ্রবেশকারী, ইয়াবা, মাদক ও পতিতা ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের পদ দেয়। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা দশ বার ফোন করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে একজন রাজাকারের মেয়ে ও বিএনপি নেতাকে স্থান করে দিয়েছে। তবে তিনি তাদের নাম প্রকাশ করেন নি। যারা নেতাদের হোটেল ভাড়া, বিমানের ভাড়াসহ রাতে মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করে দিতে পারছে তাদের নিয়েই কৃষক লীগকে বির্তকিত করা হচ্ছে। আমি এসবের প্রতিবাদ জানালে সাত মাস আগে আমাকে শোকজ করা হয়। কিন্তু শোকজের কোনো কারণ উল্লেখ করতে পারেনি।’

এক প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল রাতে স্থানীয় আওয়ামী নেতারা ও এটিএম পেয়ারুল ইসলাম আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। উনারা আমাকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে পছন্দের প্রার্থীর জন্য সরে যেতে আহ্বান জানান। অনেকে বলছে আমি টাকা নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এটি সত্যি নয়। আমি নিজের জন্য কিছু চাইনা। আমি বলেছি কাউন্সিলদের প্রত্যক্ষ ভোটে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক লীগ ও প্রতিটি উপজেলার কৃষক লীগের কমিটি দিতে হবে। উনারা আমার প্রস্তাব মেনে নিয়েছে।’

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাবেক কৃষক লীগ নেতা মো. ফয়েজুল ইসলাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নেতা নারায়ন রক্ষিত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান।

সিভয়েস/আরকে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়