Cvoice24.com

আওয়ামী লীগ কবে ভালো ছিল— প্রশ্ন রিজভীর

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ৩ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগ কবে ভালো ছিল— প্রশ্ন রিজভীর

রুহুল কবির রিজভী। পুরনো ছবি

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ কবে ভালো ছিলো— এমন প্রশ্ন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, অনেকেই বলে এই আওয়ামী লীগ আর সেই আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ কবে ভালো ছিল? ৭২-৭৫ সালে দেখেছি লাল বাহিনী, নীল বাহিনী, সবুজ বাহিনী। রক্ষী বাহিনীর কথাও জানি। এখন আমরা দেখছি ছাত্রলীগ বাহিনী, যুবলীগ বাহিনী, হেলমেট বাহিনী, হাতুড়ি লীগ। সাথে পুলিশ-র‌্যাব তো আছেই।

সোমবার সকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের নজিরবিহীন কেলেঙ্কারি ও সারাদেশে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

রিজভী বলেন, সারাদেশকে এক ভয়াবহ অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছেন শেখ হাসিনা। এর পরিণাম যে কী ভয়াবহ হবে তিনি টের পাচ্ছেন না। গোটা দেশকে এক লুটপাটের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন। এই অনাচার চলতে দেওয়া যায় না। জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্বে মহিলা দলের নেতাকর্মীদেরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ছাত্রলীগ আজ সন্ত্রাসী সংগঠন। এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে, ছাত্রলীগ আজকে নারী নির্যাতনকারী। এদের আশ্রয়দাতা, প্রশ্রয়দাতাও তিনি।

বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজে যা হচ্ছে তা অবর্ণনীয় ও ন্যক্কারজনক। আসলে সরকার ছাত্রলীগকে কী বানাচ্ছেন? তাদেরকে তো খুনি বানাচ্ছেন। এর আগে বিশ্বজিতকে হত্যা করেছে। 

তিনি বলেন, আজকে দেশে পড়ালেখা নেই। শেখ হাসিনা পড়ালেখা তুলে দিয়েছেন। প্রভুদের খুশি করতে টার্গেট করে তিনি এটা করেছেন। আজকে ছাত্রলীগের নামে ছাত্র আছে। কিন্তু পড়ালেখা তো নেই। শেখ হাসিনা কি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নারীদের দাস বাজারে পরিণত করছেন? ইডেনের ঘটনা তো তাই প্রমাণ করে। 

রিজভী বলেন, যারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে অবৈধভাবে কব্জা করে, দিনে ভোট করার যারা সাহস পান না, রাতে ভোট করতে হয়; তারা তো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শান্তিপূর্ণভাবে চলুক সেটা চান না। ওরা ইডেন কলেজ ছেড়ে দিয়েছে- ছাত্রলীগ তুমি যা ইচ্ছে করো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিয়েছে ছাত্রলীগকে, তারা সেখানে হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে কোনো ভবন নির্মাণকাজ হলে সেগুলো থেকে চাঁদা দাবি করে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমাদেরকে অনেকেই বলেন- বিএনপি ইডেনের বিষয়ে কী করছে? আমরা ইডেনে ছাত্রলীগের কুকর্মের প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই। মা-বাবা সুশৃঙ্খল ও ভদ্র হলে ছেলে-মেয়েও ভদ্র হয়। আজকে এত এত মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশের স্বাধীনতা আজ কোথায়? আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলেই খালি গণতন্ত্রের কথা বলে। বাংলাদেশ থেকে কেউ বড় বিজ্ঞানী হোক, বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাক, কেউ বড় অর্থনীতিবিদ হোক, পণ্ডিত হোক- এটা তো শেখ হাসিনা চান না। এইবার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে একজন খুনিকে।

তিনি বলেন, ইডেনে ছাত্রলীগের কুকীর্তি ন্যক্কারজনক। আসলে ছাত্রলীগের উপরের দিকে যারা আছেন তারা ভালো না। ফলে ছাত্রলীগ তো নারীদের ওপর আক্রমণ করবেই। তারা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চাইবে না। 

সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান-সহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ মহিলা দলের নেতাকর্মীরা।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়