জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী আজ
আজ ৯ জানুয়ারি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর-উত্তম) ৮৭তম জন্মবার্ষিকী। জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালে বগুড়ার গাবতলীর ছায়া সুনিবিড় নিভৃত জনপদ বাগবাড়ির এক বনেদি পরিবারে জন্ম নেন। ১৯৫৩ সালে তিনি যোগ দেন সে সময়ের পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জিয়াউর রহমান। দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযুদ্ধের একটি স্বতন্ত্র সেক্টরের। তার নামে গড়ে ওঠে জেড ফোর্স।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর একটি অংশের অভ্যুত্থানে নিহত হন জিয়াউর রহমান।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। আজ ভোরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে, বেলা ১১টায় জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া, দুপুর ১২টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, বিকাল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা করবে। রাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অসহায় মানুষের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি শীতবস্ত্র বিতরণ করবে। এছাড়াও ১৯ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল তার জন্মস্থান বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করবে। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের ছবিসংবলিত পোস্টারও প্রকাশ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। জাতীয় দৈনিকে জিয়াউর রহমানের ওপর ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে বিএনপি।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, ‘জাতির এক ক্রান্তিকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঐতিহাসিক যুগান্তকারী দায়িত্ব পালন করেন। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় এবং তিনি যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। তিনি হন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় মহান নেতা। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক আপসহীন দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক। তাই সব ধরনের আধিপত্যকামী বৈদেশিক চাপ ও অশুভ প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টাকে অগ্রাহ্য করে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ জিয়াউর রহমানের এক অবিস্মরণীয় অবদান।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সৈনিক ও রাজনৈতিক জীবনের সততা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রম প্রতিটি মানুষ শ্রদ্ধাভরে এখনো স্মরণ করে। একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসেবেও তাঁর পরিচিতি সর্বজনবিদিত। সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন ও দিকনির্দেশনা।’