Cvoice24.com

এমপি হওয়ার সহজ সিঁড়ি— এক আসনেই ২৭ মনোনয়ন প্রত্যাশী

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৩১, ২২ মার্চ ২০২৩
এমপি হওয়ার সহজ সিঁড়ি— এক আসনেই ২৭ মনোনয়ন প্রত্যাশী

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন মোট ২৭ জন। এরমধ্যে দলের প্রবীণ পরীক্ষিত নেতাদের পাশাপাশি প্রয়াত দুই এমপির স্ত্রীরা যেমন রয়েছেন তেমনি সাবেক ছাত্রনেতারাও রয়েছেন। এমনকি জনবিচ্ছিন্ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন। মাত্র ৮ মাস সময়কালের এ নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেতে রীতিমত হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। পোস্টার-ব্যানারের মাধ্যমে অনেকে আবার নিজের পরিচয় তুলে ধরার পাশাপাশি প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিও জানান দিয়েছেন। 

আট মাসের একটি উপ-নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেতে ২৭ জনের মনোনয়ন প্রত্যাশীর ঘটনাকে অস্বাভাবিক বলছেন সংশ্লিষ্টরা। খোদ দলের নেতারাই বলছেন— এই প্রবণতা দলের মধ্যে শৃঙ্খলার অভাব ও সিনিয়রদের সম্মান না দেওয়ার প্রতিচ্ছবি। তাছাড়া বিএনপিসহ বিরোধী দলহীন নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেলেই এমপি পদ অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে সম্প্রতি। ফলে দলে ও জনগণের মাঝে অবস্থান না থাকলেও যে কেউ নানাভাবে ম্যানেজ করে এমপি হতে চান। আবার অনেকে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ভোটে এবং দল থেকে প্রত্যাখাত হলেও মূলত নিজের প্রচারের জন্যই ৩০ হাজার টাকা খরচে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এমন অনুশীলন আওয়ামী লীগের মত একটি বৃহৎ ও ক্ষমতাসীন দলের জন্য সুখকর নয় বলেও মত এসেছে। সামনের জাতীয় নির্বাচনে এক আসনেই এতো মনোনয়ন প্রত্যাশীর লাগাম টানতে না পারলে ভোটের মাঠে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশ্লেষকরা।

সংখ্যা এতো বেশি হয়েছে। বেশিরভাগই মনে করছেন, তিনি মনোনয়ন পাবেন। আর মনোনয়ন পেলেই নিশ্চিত বিজয়ের মাধ্যমে আগামী দিনের এমপি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন— যেহেতু বিএনপি অংশ নিচ্ছে না, তাই এ উপ-নির্বাচনে সবার জন্য প্রার্থীতা উন্মুক্ত করে দেওয়া হতে পারে। ফলে নির্বাচন করে জয়ী হয়েও আসতে পারবেন অনেকে। 

এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশী বেশি হওয়ার পেছনে আরও একটি কারণ হলো— অনেকে মনোনয়ন পাবেন না নিশ্চিত জানার পরও মনোনয়ন ফরম কিনছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে এলাকায় নিজের অবস্থান তৈরি, যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন, তার কাছে নিজের গুরুত্ব বাড়ানো, দলের মধ্যে গুরুত্ব বাড়ানো এবং পরে যেকোনো পর্যায়ের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্র তৈরিসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা দলের মনোনয়ন ফরম কিনছেন। 

এরকম পরিস্থিতি ঠেকাতে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে গণহারে মনোনয়ন ফরম বিক্রি হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ কড়াকড়ি আরোপ করেছিল আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের লাগাম টানতে দলীয় গঠনতন্ত্রের বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করেছিল আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত রেজুলেশনে প্রার্থীর নাম ছাড়া নমিনেশন ফরম বিক্রি হয় না। অর্থাৎ জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে এসব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নামের তালিকা পাঠানো হবে তারাই কেবল মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারে।

যদিও সংসদীয় আসনে সেই নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। ফলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্যরা গণহারে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। এদের মধ্যে অনেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে (সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান) বারবার মনোনয়ন চেয়ে দল থেকে ব্যর্থ হয়েছেন। এরপর আরও বড় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের ফরম নিয়েছেন। অথচ বোয়ালখালী পৌরসভা, আট ইউনিয়ন ও নগরের পাঁচটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসন। ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন। মহিলা ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন। ভোটকেন্দ্র ১৯০টি, ভোটকক্ষ ১৪১৪টি। যেসব প্রার্থী একটা ওয়ার্ডেই মনোনয়ন পাননি তারাও ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ ভোটারের জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ গত ৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে শূন্য এই আসনে উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ২৭ এপ্রিল। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। 

নৌকার মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ২০ মার্চ (সোমবার) থেকে ২২ মার্চ (বুধবার) পর্যন্ত মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদানের আহ্বান জানায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগ্রহী প্রার্থীরা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা দেন। প্রথম দিন (সোমবার) ১৩ জন ও দ্বিতীয় দিন (মঙ্গলবার) ১২ জনের পর শেষদিনে অর্থাৎ বুধবার ২জনসহ মোট মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা ২৭ জন। 

শেষ দিনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক মাহবুব রহমান ও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান উপ ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু।

দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন ১২ জন। তারা হলেন— প্রয়াত মোছলেম উদ্দীন আহমদের স্ত্রী চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা লীগের সদস্য শিরিন আহমেদ, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আহমেদ ফয়সাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য বিজয় কুমার চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সদস্য কফিল উদ্দীন খান, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ এমরান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাইফুদ্দীন আহমেদ রবি, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এস এম আবুল কালাম ও জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম নগরের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম। 

আগের দিন সোমবার মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন— প্রয়াত এমপি মইনুদ্দীন খান বাদলের স্ত্রী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (আহ্বায়ক কমিটি) সেলিনা খান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (আহ্বায়ক কমিটি) আশেক রসুল খান, আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য এ.এম. কফিল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এ টি এম আলী রিয়াজ খান, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ জাহেদুল হক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা তাঁতই লীগের সহ-সভাপতি জহুর চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ (মোহরা) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (আহ্বায়ক কমিটি) সুকুমার চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য হায়দার আলী চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মনছুর আলম।

এক উপ-নির্বাচনেই ২৭ জনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়টিকে ‘দলীয় শৃঙ্খলার অভাব’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। সিভয়েসের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই প্রবণতা দলের মধ্যে শৃঙ্খলার অভাব ও সিনিয়রদের সম্মান না দেওয়ার প্রতিচ্ছবি। আগে এমপি পদে ফরম নিতেন যারা শিক্ষিত, সজ্জন, ত্যাগী পরীক্ষিত নেতারা। দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে দু-চারজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতেন। এখন বিষয়টি মানা হচ্ছে না। খুব বাজেভাবেই অনুশীলন করা হচ্ছে। ফ্রি-স্টাইলে যে যার ইচ্ছামত মনোনয়ন ফরম নিচ্ছেন। সিনিয়র-জুনিয়র কোন মান্যগণ্য নেই।’ 

এর কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলছেন, ‘বিএনপির নির্বাচন বর্জনের কারণে অনেকটা মাঠ খালি থাকায় এখন কোনভাবে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে পারলেই এমপি হওয়ার যেই সুযোগ; সেটির জন্যই এতো হুড়োহুড়ি। তবে দলের পরীক্ষিত নেতাদের হাতেই নৌকা উঠুক সেটা চাই।’ 

নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সিভয়েসকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল। যে কেউ নমিনেশন চাইতে পারেন। হয়তো সেই চিন্তা থেকে চেয়েছেন তারা। কিন্তু তাদের অনেকেই এমনে নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান না। নমিনেশন কেনার সুযোগে হয়তো দেখাটা করে আসতে চান অন্তত।’ 

একই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী সিভয়েসকে বলেন, ‘বাংলাদেশে সবকিছুই এখন ক্ষমতাকেন্দ্রিক। সবাই এখন ক্ষমতা চায়। যারই কিছু অর্থ ও পরিচিতি হয়েছে সে-ই ক্ষমতা পেতে মরিয়া হয়ে। আর যেহেতু ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক হন স্থানীয় এমপিরা; তাই সবারই আগ্রহ এমপি হওয়া। অর্থ ও ক্ষমতালিপ্সুরা মনে করেন একবার এমপি হতে পারলেই নিজের প্রতিপত্তিকে নতুন মাত্রা দিতে পারবেন। এতে জনগণের বা এলাকার কী উন্নয়ন হবে তা এসব নেতার ধ্যান-ধারণার মধ্যে আনেন বলে মনে হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতির সঙ্গে নীতি কথাটা যুক্ত আছে। নীতি হলো কিছু আদর্শ নিয়ম-কানুন। অতীতে আমরা দেখেছি যারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, তারা নীতি-নৈতিকতার চর্চা করেছেন। রাজনীতিবিদদের মানুষ শ্রদ্ধা করত। তাদের কথায় জীবন উৎসর্গ করতেও দ্বিধা বোধ করত না। রাজনীতি ছিল দেশ ও মানুষের সেবা করার সবচেয়ে উত্তম পন্থা। যারা রাজনীতির খাতায় নাম লেখাতেন তারা আত্মস্বার্থ কখনো বিবেচনায় রাখতেন না। দেশ-জাতি, মানুষের কল্যাণই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু এখন সব উপেক্ষা করে রাজনীতি হয়ে পড়েছে নিজের আখের গোছাতে।’

চবির রাজনীতি বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘বর্তমানে নির্বাচনটা প্রতিযোগিতাপূর্ণ না। নির্দিষ্ট দলের সীমাবদ্ধ থাকায় ওই দলের মধ্যে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠছে। দেখা যায়, সরকার দলীয় সবাই এখন মনোনয়ন প্রত্যাশী। অন্য দলের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নিজেরা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছে। এজন্য যাদের অর্থ, লবিং কিংবা কেন্দ্র ম্যানেজ করার ক্ষমতা থাকে, সে সুযোগ নেয়। অন্য দলের প্রার্থী না থাকায় মনোনয়ন নেওয়ার পর যদি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে যান, তাহলে তিনি নিশ্চিতভাবে ওখানের এমপি হয়ে যান। এমন সুযোগ কে-বা মিস করতে চায়?’

‘তবে এটা সুস্থ রাজনীতির লক্ষ্মণ না। এমপি হওয়ার আগে আমরা দেখি এক অবস্থা, এমপি হওয়ার পর দেখি অন্য অবস্থা। উড়ে এসে জুড়ে বসে কিংবা পেশীশক্তি ব্যবহার, অর্থ কিংবা লবিংয়ের মাধ্যমে এমপি হতে চান, তারা দেশের জন্য সুখকর কিছু বয়ে আনবে না। এজন্য তৃণমূলে যারা লিডারশীপ আছে তাদের মতামত নেওয়া দরকার। বিশেষ করে যারা সঠিক উদ্দেশ্যে রাজনীতি করেছেন, যাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে ও আদর্শের প্রতি কমিটমেন্ট তাদেরই দলীয় মনোনয়ন দেয়া উচি ‘ —যোগ করেন এ রাজনীতি বিশ্লেষক।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়