কুজেন্দ্র ত্রিপুরা পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র হাছান মাহমুদের হাতে, শিক্ষায় নওফেল
সিভয়েস প্রতিবেদক
নতুন মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রামের ড. হাছান মাহমুদ। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভার গেছে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের কাছে। অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রী খাগড়াছড়ির কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা পেয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৃতীয় সরকারের বহরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে প্রথম মন্ত্রিসভায় যুক্ত হন রাঙ্গুনিয়ার এমপি ড. হাছান মাহমুদ। ছয় মাস পরে দপ্তর বদলিয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। একই বছরে ওই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী করা হয় তাঁকে। সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্বভার পান আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য মনোনীত হন নওফেল। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বাকি মন্ত্রীরা যে মন্ত্রণালয় পেলেন
আ. ক. ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন শিল্প মন্ত্রণালয়, আসাদুজ্জামান খান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডা. দীপু মনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মো. তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, মুহাম্মদ ফারুক খান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, আবুল হাসান মাহমুদ আলী অর্থ মন্ত্রণালয়, আনিসুল হক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আবদুস শহীদ কৃষি মন্ত্রণালয়, সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্য মন্ত্রণালয়, র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, আব্দুর রহমান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ভূমি মন্ত্রণালয়, আবদুস সালাম পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ফরহাদ হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ফরিদুল হক খান ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জিল্লুল হাকিম রেলপথ মন্ত্রণালয়, সাবের হোসেন চৌধুরী পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, জাহাঙ্গীর কবির নানক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, নাজমুল হাসান পাপন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইয়াফেস ওসমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং ড. সামন্ত লাল সেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ১১ জন। তাদের মধ্যে নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, জুনাইদ আহমেদ পলক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, জাহিদ ফারুক পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, সিমিন হোসেন রিমি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুহিববুর রহমান দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মো. আলী আরাফাত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বেগম রুমানা আলী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, আহসানুল ইসলাম টিটু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
