নগর বিএনপির নেতৃত্বে এরশাদ উল্লাহ-নাজিম
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
অবশেষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহকে আহ্বায়ক এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়।
রবিবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির কথা জানানো হয়।
বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের নগর ‘ত্যাগে’ সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহকে শীর্ষ পদে বসানোর জোর সম্ভাবনার কথা উঠে আসছিল কমিটি সমাচারে। সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে নিয়ে কমিটির একটি 'সেট-আপ'ও সাজানো হয়েছিল। কমিটি ভাঙার পর নিজস্ব বলয়ে আলাদা কর্মসূচি করে তার কিছুটা বার্তাও দিয়েছেন এরশাদ-নাজিম।
এদিকে কাজীর দেউড়িতে শনিবারের সমাবেশের পর পদপ্রত্যাশীরা সবাই ছুটে গিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মেহেদীবাগের বাসায়৷ এরপর সেখানে তাদের মধ্যে গভীর রাত অবধি আলোচনাও হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ‘লন্ডন কানেকশন’ অক্ষুণ্ন থাকলেও সেখান থেকে চাওয়া হয়নি নগর বিএনপির দায়িত্ব আবার শাহাদাত-বক্করের হাতে যাক। নগর বিএনপির নেতৃত্বে নতুন কাউকে আনতে চেয়েছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান । যার দেখা মিলেছে কমিটি ঘোষণার পরই।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এর আগে, ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ডা. শাহাদাত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্য সচিব করে ৩৯ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নেতৃবৃন্দকে দ্রুততম সময়ে নগরের থানা ও ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের অক্টোবরে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে এসে কেন্দ্রের নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়।
এর আগে, ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট ডা. শাহাদাতকে সভাপতি ও আবুল হাশেম বক্করকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়, যা পরের বছর ১০ জুলাই ২৭৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়।
এছাড়া ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সভাপতি এবং ডা. শাহাদাত হোসেন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নগর বিএনপির।