চট্টগ্রামে যুবদলের ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারে নিন্দা

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় মেধাবী শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চট্টগ্রামে নগরে ১২নেতাকর্মীর গ্রেপ্তার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দূর ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ। 

বুধবার (১৭ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ  নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। 

বিবৃতিতে তারা বলেন, বিনা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় নগর যুবদলের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এসএম বখতেয়ার উদ্দিন, কোতোয়ালী থানা যুবদলের আহবায়ক নুর হোসেন নুরু, ডবলমুরিং থানা যুবদল নেতা সোহেল আরমান, মো. মানিক, ইপিজেড থানা যুবদল নেতা মো. ইফতেখার, ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য মোহাম্মদ ইয়াছিন, ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড জয়নাল আবেদিন সাকিব, ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, ৯ নং নিউ শহীদ লেইন ইউনিট যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল, ২৬ নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড যুবদল নেতা পারভেজ আলম, ৩৮ নং মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. রাশেদ ও মো. মহিউদ্দিনসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে বাসা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তারা আরো বলেন, গ্রেপ্তারের সময় তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দূর্ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, ছাত্র সমাজের আন্দোলন চলাকালীন হত্যা, দমন-নিপীড়ন করে অতিতের কোন স্বৈরাশাসক যেমন শেষ রক্ষা করতে পারেনি বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারও দমন-নিপীড়নের এই পথে শেষ রক্ষা করতে পারবে না।

সাধারণ ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবী পূরণে কার্যকরী ও বিশ্বাসযোগ্য উদ্যোগ নেওয়ার পরিবর্তে সাধারণ ছাত্রদের এই আন্দোলনে ঠান্ডায় মাথায় পরিকল্পিতভাবে বলপ্রয়োগ এবং সরকারী দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগসহ তাদের বিভিন্ন সংগঠন প্রায় সারা দেশে হামলা, সশস্ত্র আক্রমণ ও গুলিবর্ষণ চালিয়ে ৭জনকে হত্যা ও হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে আহত করার ঘটনায় আমরা ক্ষোভ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নেতৃদ্বয় অবিলম্বে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারকৃত যুবদল নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।