১৮ বছরের গায়েবি মামলা প্রত্যাহার চায় বিএনপি
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত ১৮ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে সকল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, হয়রানিমূলক, মিথ্যা, গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম নগরের আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নগর বিএনপির এক প্রতিনিধি সভায় এ দাবি জানান।
আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করেছিল। যারা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছে তাদের গুম, খুন ও নির্যাতন করেছে। মিথ্যা গায়েবি মামলায় অনেকেই জেল হাজতে মৃত্যুবরণ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে নেতাকর্মীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছে। কিন্তু শত নির্যাতন করেও আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হয়নি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। দীর্ঘ দিনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে মুক্ত নিঃশ্বাস নেয়ার পরিবেশ। ছাত্র-জনতার দুর্বার আন্দোলনে দেশ আজ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। তাই ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে সকল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, হয়রানিমূলক, মিথ্যা, গায়েবি মামলা দিয়েছিল তা প্রত্যাহার করতে হবে।
এসময় তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে করে বলেন, আপনারা যার যার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলার বিষয়ে আলোচনা করেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো ফরমেট অনুযায়ী ফরম পূরণ করে দলীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে দীর্ঘ ১৮ বছরের হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলাগুলো নিষ্পত্তিকল্পে আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন চৌধুরী ও চট্টগ্রামের সিনিয়র আইনজীবীরা।
সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে। আজ ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন আমাদেরকে এই বিজয়কে সুসংহত করতে হবে। আজকে কেউ যদি সন্ত্রাস করতে চায়, কেউ যদি চাঁদাবাজী বা অন্য কিছু করে সেটা আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে প্রতিরোধ করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা যারা ভন্ডুল করবে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সহ্য করবো না। প্রয়োজনে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। বিএনপি সমস্ত অন্যায়কে প্রতিহত করবে।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, হাজী মো. আলী, হারুন জামান, মফিজুল হক ভুঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, মন্জুর আলম মন্জু, চট্টগ্রাম নগর লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব এড. কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এড. হাসান আলী, এড. তারেক আহমেদ, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এড. এফ এ সেলিম, এড. নেজাম উদ্দিন খান, এড. সৈয়দুল আমিন, এড. আবদুল আজিজ, এড. এনামুল হক, এড. মো. লোকমান, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জাহিদুল হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, কাওসার হোসেন বাবু, মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।