হালিশহরে কর্মী সম্মেলন
নেতাকর্মীকে হত্যা করা যায়, আদর্শকে নয় : জামায়াত
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
হত্যা জেল জুলুম নির্যাতন চালিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে নিশ্চিহ্ন করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের হত্যা করা যায়, কিন্তু আদর্শকে হত্যা করা যায় না।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের হালিশহর থানার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার। সেই সাথে তাদের দলীয় অঙ্গসংগঠনগুলো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলে মত্ত ছিল। বিশ্বের বুকে এ দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নেয়ার জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে। জনকল্যাণমুখী এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে চারিত্রিক সংশোধন ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার অপরিহার্য।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ জামায়াত-শিবির ও জনতার উপর চরম নির্যাতন হামলা মামলা চালিয়েছে। নির্যাতিত নিরীহ জনতার ঘর-বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। খুন, গুম ও অপহরণ চালিয়ে গোটা দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। যারা আল্লাহর কাছে শহীদি তামান্না কামনা করে তাদেরকে জেল জুলুম চালিয়ে দমিয়ে রাখা যায় না।
হালিশহর থানা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরে জাহান সিরাজী সবুজের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন নগর জামায়াতের আমীর সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নগর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী।
কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা অধ্যাপক মুহাম্মদ নুর, বন্দর থানা আমীর মাহমুদুল আলম, সদরঘাট থানা আমীর আব্দুল গফুর, হালিশহর থানা নায়েবে আমীর ড. মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মঞ্জুরুল হক, শহীদ আবিদ বিন ইসলামের পিতা এডভোকেট মনিরুল ইসলাম, ছাত্রশিবির নেতা আবু শাহাদাত সায়েম, আব্দুল ফাত্তাহ উসামা প্রমুখ।
নগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- আমরা সবাই এ দেশের গর্বিত নাগরিক। আমরা সবাইকে নিয়ে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোনো দরিদ্র থাকবে না, ক্ষুধামুক্ত, ভয়ভীতিমুক্ত ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে চাই। বর্তমানে দেশে একটি শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই শান্তির পরিবেশকে অরাজকতার পরিবেশে সৃষ্টি করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। এই অরাজকতার পরিবেশ যাতে তৈরি করতে না পারে, এ জন্য আমাদের সব কর্মীকে একতাবদ্ধ থেকে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।