অবশেষে নয়াপল্টনের ‘কাঠগড়ায়’ গিয়াস কাদের
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
অবশেষে বিএনপির ‘কাঠগড়ায়’ দাঁড়াতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে। তাঁর বিরুদ্ধে নিজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, প্রবাসীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, কমিটি গঠনে বাধা, সন্ত্রাসী ভাড়া করে সীতাকুণ্ড রাউজানসহ অন্যান্য নির্বাচনী আসনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগে আগামী তিনদিনের মধ্যে তাঁকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) কেন্দ্র থেকে এ কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। এতে সই করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
কারণ দর্শানো নোটিশে অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘এলাকায় দলমত নির্বিশেষে ধনী ব্যবসায়ীর তালিকা করে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায়, ওমান বসবাসরত সিআইপি ব্যবসায়ী ইয়াসিনের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা চাঁদা দাবি, চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীদের দিয়ে ইয়াসিনের রাউজানের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া, সিআইপি ব্যবসায়ী মো. ফোরকানের কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে সন্ত্রাসী দিয়ে ফোরকানকে নির্মম শারীরিক নির্যাতন, অনুগত সন্ত্রাসীদের দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থানরত রাউজানের ব্যবসায়ীদের ওপর ঢালাও চাঁদাবাজির মাধ্যমে এলাকাকে আতঙ্কের জনপদে পরিণত করা অন্যতম।’
এতে আরো বলা হয়, ‘স্বঘোষিত কমিটি ঘোষণা করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আপনি ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে বলেন, রাউজান কমিটি গঠন করতে কারোর প্রয়োজন নেই, আমার এলাকা আমি করবো। এ ধরণের বক্তব্য মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়ের নেতৃত্বের প্রতি চরম অনাস্থা ও ধৃষ্টতা। দীর্ঘ ৬ বছর বিদেশে থেকে নতুন সরকারের শুরুতে দেশে এসে দেশ-বিদেশের সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে রাউজানে আপনি অস্থিরতা ও মারাত্মক আতঙ্ক তৈরি করেছেন-যা রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ডসহ উত্তরের অন্যান্য নির্বাচনী এলাকায় বিরুপ প্রভাব ফেলছে।’
এসব অভিযোগে গিয়াস কাদেরের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছে দলের হাইকমান্ড।
এ প্রসঙ্গে জানতে গিয়াস কাদের চৌধুরীর মুঠোফোনে কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার ফোন দিলেও সাড়া মেলেনি।
সিভয়েস২৪/মিমু