দলীয় শোকজের জবাব
জিয়া পরিবারের পর আমরাই বেশি নির্যাতনের শিকার : গিয়াস কাদের
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে দলের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশের জবাব দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। তাঁর দাবি, জিয়া পরিবারের পর গিয়াস কাদের পরিবারই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এছাড়া, তাকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে না পেরে অস্ত্র হিসেবে এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বরাবরে লিখিত জবাবে তিনি এসব জানান।
লিখিত জবাবে তিনি জানিয়েছেন, গত ৫ নভেম্বর ইস্যুকৃত আপনার শোকজ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমি পেয়েছি। বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকা সত্ত্বেও উত্তর দিয়ে বাধিত করছি। কথিত আবেদনকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাপ্ত নোটিশে আমি, আমার পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ব্যথিত। অভিযোগে উল্লেখিত বিষয়াদি আমি ও আমার পরিবারকে জনগণের সামনে হেয় প্রতিপন্ন করার একটি হীন অপকৌশল বলে মনে করি।অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দ্যেশে প্রণোদিত।
তিনি আরো বলেন, আমি বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের রোষানলের পরেও দলের হাল ছাড়িনি। সন্ত্রাসীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দলের সকল কর্মসূচী সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে মামলা-হামলার শিকার ও শহীদ নেতাকর্মীদের দাফন কাপন সম্পন্নসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পাশে ছিলাম।
গিয়াস কাদের উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে জিয়া পরিবারের পরে আমার পরিবারই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরপরেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে হৃদয়ে ধারণ করে আছি। পতিত স্বৈরাচার এবং তার দোসররা আমাকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে না পেরে, আমার বিরুদ্বে এ ধরনের অপপ্রচার চালানোকে তাদের শেষ অস্ত্র মনে করছি। আমি আপনার মাধ্যমে দলের সকল নেতা-কর্মীকে আহ্বান করবো যেন এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সদা সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ থাকে।
তিনি আরো বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন কিংবা প্রশ্নবিদ্ধ করা কিংবা দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কে বা করা নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলের হাইকমান্ডকে আমি কিংবা আমার পরিবারের বিষয়ে ভুল তথ্য প্রদান করেছে। আমি সম্পূর্ণভাবে জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল।
এর আগে, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, প্রবাসীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, কমিটি গঠনে বাধা, সন্ত্রাসী ভাড়া করে সীতাকুণ্ড রাউজানসহ অন্যান্য নির্বাচনী আসনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ তুলে ধরে কেন্দ্র থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। এতে সই করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।