তথ্য অধিকার আইন নিয়ে দৃষ্টি চট্টগ্রামের আড্ডা
সিভয়েস ডেস্ক
দৃষ্টি চট্টগ্রামের অনলাইন আয়োজন ইচ্ছেতলার দ্বিতীয় পর্বে জমজমাট আড্ডা হয়ে গেল তথ্য পাওয়ার অধিকার নিয়ে। তথ্য অধিকার আইনের নানা সুবিধা-অসুবিধার কথা উঠে এসেছে এ আড্ডায়। সম্প্রতি দৃষ্টি চট্টগ্রামের ফেসবুক পেইজে এই আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অতিথি ছিলেন এমআরডিআই-এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান। এছাড়াও আড্ডায় অংশ নেন প্রথম আলোর চিত্র সাংবাদিক জুয়েল শীল, ডয়েচে ভেলে একাডেমির কক্সবাজার প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক শিহাব জিশান, বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক দিনা আফসানা ও ডেইলি সানের সংবাদকর্মী ইয়াসির সিলমী। দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুলের পরিকল্পনায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ।
আড্ডায় শিহাব জিশানের কথায় উঠে আসে বর্তমানে গণমাধ্যমের নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার কথা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যমের ব্রেকিং দেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতার কথা তুলে ধরেন তিনি। এ বিষয়ে এমআরডিআই-এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান বলেন, ‘গণমাধ্যমের যে বিশ্বাসযোগ্যতা সেটি এখনো ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অর্জন করতে পারেনি। তাই দিনশেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার জায়গায় থাকবে, আর গণমাধ্যম থাকবে মানুষের আস্থার জায়গায়। তবে এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে অবশ্যই সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে।’
তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে তথ্য পেতে নানা বিড়ম্বনার কথা উঠে আসে দিনা আফসানা ও ইয়াসির সিলমীর কথায়।
এ বিষয়ে এমআরডিআই-এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকদের জন্য তথ্য অধিকার আইন তথ্য পাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নয়। এটি অনেকগুলো মাধ্যমের একটি মাত্র। তাই হতাশ হওয়া যাবে না। তথ্যেও জন্য লেগে থাকতে হবে।
জুয়েল শীলের কথায় উঠে আসে সাংবাদিকদের নানা ধরনের নির্যাতন নিপীড়নের কথা। এ বিষয়ে হাসিবুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকতা কখনোই নিরাপদ পেশা ছিলো না। সাংবাদিকতা পেশায় এসে ভয় পাওয়া যাবে না। প্রতিটি প্রতিবেদনের গুণগত জায়গা শক্তিশালী করা গেলে সাংবাদিকদের ডিজিটাল আইনকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।’ পুরো আয়োজনে সকলের কথায় সংবাদকর্মীদের মাঠ পর্যায়ের নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও এর থেকে উত্তরণের উপায় ওঠে আসে।