Cvoice24.com

‘গ্রীন লিফ ডিজাইনার এওয়ার্ড’ পেলেন ওপেলিয়া চৌধুরী

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
‘গ্রীন লিফ ডিজাইনার এওয়ার্ড’ পেলেন ওপেলিয়া চৌধুরী

প্রফেসর ড. অনুপম সেনের কাছ থেকে এওয়ার্ড গ্রহণ করছেন ওপেলিয়া চৌধুরী

‘গ্রীন লিফ এওয়ার্ড’ পেয়েছেন চট্টগ্রামের জনপ্রিয় ডিজাইনার ওপেলিয়া চৌধুরী। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) নগরের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৩ জনকে এওয়ার্ড প্রধান করা হয়। এতে সেরা ডিজাইনারের পুরস্কার পান জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার ওপেলিয়া চৌধুরী। এ সময় তাকে এওয়ার্ডটি তুলে দেন চট্টগ্রামের অনন্য আলোকরেখা জীবন্ত কিংবদন্তি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, বর্ষীয়ান লেখক, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। 

প্রতিক্রিয়ায় ওপেলিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমি কাজ করি মসলিন কাপড়  নিয়ে। মসলিন শাড়ি বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সাথে খুব নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। মসলিন বাঙালি নারীদের কাছে আবেগের জায়গা। বিয়ের মূল আকর্ষণগুলোর ভেতর সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে কনের পোশাক। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা তো আর এক দিনের নয়। এর আগে-পরেও থাকে অনেক  অনুষ্ঠান। আর এই ভিন্ন অনুষ্ঠানের পোশাকের ধরনেও আছে রকমফের। তবে বিয়ের দিনের পোশাকের আকর্ষণই আলাদা। কেউবা বিয়ের দিনে একেবারে ছিমছাম ও হালকা পোশাক পছন্দ করেন। আর কেউ আবার খুব ভারী জমকালো পোশাকের বায়না ধরেন। এসবের সমাধান করে আসছি গত একযুগ ধরে।’ 

‘পশ্চিমা ক্রেতারা এখনো মসলিন দেখে বিশ্বাস করতে পারেন না যে ঢাকাই মসলিন মানুষেরই হাতে বোনা। আগে এমন গুজবও ছিল যে এই মসলিন বুনেছে মৎস্যকন্যা, পরী বা ভূতেরা। মসলিন এত নরম আর হালকা, এ যুগের কোন কাপড়ের সাথেই তার কোন তুলনা চলে না। তাই ওপেলিয়া বুটিক কাজ করছে ১৭০ বছরের পুরনো মসলিন কাপড় নিয়ে।’

‘বহু বছর ধরে এ মসলিন শিল্প নিয়ে কাজ করছি। বাহারি রঙের লেহেঙ্গা, শাড়ি, শেরওয়ানি,পাঞ্জাবি তৈরী করে তাকে ওপেলিয়া বুটিক সাথে অরগ্যাঞ্জা  ফুলের ব্যবহার থাকে তার ডিজাইনে সেই ফুলের মধ্যে থাকে সিয়াম-রেড ক্রিস্টাল। ১০ জন সুচিশিল্পীর ৩ হাজার ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে একটি লেহেঙ্গা বা শাড়ি তৈরী করতে। সর্বশেষ তিনি সবার দোয়া আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’ 

ওপেলিয়া চৌধুরী চট্টগ্রামের একজন জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার। তিনি সদা হাস্যোজ্জ্বল প্রিয়মুখ। দেশ-বিদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে তার রয়েছে সুনাম। ওপেলিয়া চৌধুরী চিরাচরিত ডিজাইনের বাইরে গিয়ে মসলিন সিল্ক ও ভেলবেট কাপড় নিয়ে কাজ করেন। তার তৈরীকৃত কাপড় যায় সুদূর ইউরোপের বাজারে। দেশের সেলিব্রিটিদের মাঝে ওপেলিয়া বুটিক এর রয়েছে আস্তা ও সুনাম। 

তবে তার কাজের শুরুটা এত সহজ ছিল না। প্রথমদিকে তিনি কাজ করতেন হোম এসটোডিউতে। বর্তমানে তার রয়েছে ৫টি কারখানা ও ১টি আউটলেট। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মচারী নিয়ে এগিয়ে চলছে ওপেলিয়া বুটিকের কর্মযজ্ঞ। ওপেলিয়া চৌধুরীর সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের জন্য আজ তিনি গ্রিন লিফ এওয়ার্ড পেয়েছেন। 

যদিও বিয়ের পোশাকের আবেদনের সামনে অর্থমূল্যের অর্থ নেই। বলতে গেলে ওপেলিয়া চৌধুরীদের মতো  উদ্যোক্তাদের হাত ধরে ফিরেছে চট্টগ্রামের বিয়ের বাজার। আগে বাংলাদেশের ফ্যাশন বাজারও ছিল নিম্নগামী। ওপেলিয়া চৌধুরীর মতো সৃজনশীল ডিজাইনারদের আপ্রাণ চেষ্টায় বর্তমানে কিছুটা চাঙা। 

তবে বর্তমানে আশার বিষয় হলো, বিয়ের বাজার বলতে গেলে পুরোটাই দেশি উদ্যোক্তাদের দখলে। কাস্টমাইজড পোশাক বানিয়ে এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে দেশীয় উদ্যোক্তারা। এই ধারা বজায় রাখা জরুরি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়