চাটগাঁয় বুয়েট মিলনমেলা, বুয়েটিয়ানদের আড্ডা-খেলায় স্মৃতিবিজড়িত দিন
সিভয়েস ডেস্ক
‘চাটগাঁয় বুয়েট মিলনমেলায়, এসো মাতি আড্ডা-খেলায়’ এ শিরোনামে চট্টগ্রামের সকল বুয়েটিয়ানদের নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করে বুয়েট ক্লাব চট্টগ্রাম। আনন্দ উৎসবে মেতে ছিল বুয়েট ১৯৬৫ ব্যাচ থেকে ২০১৬ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এবং কেক কাটার মাধ্যমে গেস্ট অফ অনার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ এবং সিনিয়র এলামনাইগণসহ সকল বুয়েটিয়ান মিলে এ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
বুয়েটিয়ানদের এই মিলনমেলা সত্যিই যেন— চাটগাঁর বুকে এক টুকরো বুয়েট, যেন সেই ফেলে আসা প্রাণের স্ফুরণ-ক্যাফেটেরিয়া কিংবা ক্যাম্পাসে কিংবা হলে। ছকে বাঁধা জীবন থেকে একদিন অবসরের জন্য এর চেয়ে সুন্দর আয়োজন আর কি হতে পারে!
আয়োজন উপলক্ষে চট্টগ্রাম ক্লাবের সুইমিংপুল সংলগ্ন উন্মুক্ত আর মনোরম প্রাঙ্গণ সেজেছিল অপূর্ব সমারোহে। একপাশে ফুচকা, পপকর্ন, জিলাপি, ভাপা পিঠা, চা স্টল, অপর পাশে মঞ্চে ছিল অতিথিদের স্বাগত বক্তব্য, স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং শিশু কিশোরদের প্রাণচঞ্চল পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানে স্মৃতির কোঠায় এক টুকরো বুয়েট নিয়ে সাজানো ফটো ফ্রেমের বুথে ছবি তোলা নিয়ে নবীন-প্রবীণের রীতিমতো উচ্ছাস। শিশুদের জন্য ছিল পাখি প্রদর্শনী, জাম্পিং হাউস, স্লাইড রাইড সহ নানান আনন্দদায়ক খেলাধুলা। শুধু শিশুদের জন্য নয়, খেলাধুলার আয়োজন ছিল বুয়েটিয়ানদের জন্যও। নারী পুরুষ সকলের অংশগ্রহণে বেলুন শুটিং আর ফুটবল গোলের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছিল বুয়েটিয়ানরা; ফিরে গিয়েছিল সেই তারুণ্যে উজ্জীবিত অতীতে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত সিনিয়র এলামনাইগণকে তাদের দীর্ঘ কর্মজীবনে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। একে একে নৈশভোজ, র্যাফেল ড্র, সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং সবশেষে বুয়েট ক্লাব চট্টগ্রামের আয়োজকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে এই প্রাণের মিলনমেলার ইতি টানা হয়।
