Cvoice24.com

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার মাসে ‘দোয়েল’র চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ১৭ মার্চ ২০২৩
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার মাসে ‘দোয়েল’র চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং মহান স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে নগরের শুলকবহরে শিশু-কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দোয়েল’র উদ্যোগে এই আয়োজনে অংশ নেয় নগরের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সহযোগিতায় ছিলো অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম ফাউন্ডেশন। 

শুক্রবার (১৭ মার্চ) এই আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ, গ্রাম বাংলা ও এই নগর বিষয়ে দৃষ্টিনন্দন নানা ছবি আঁকে খুদে শিল্পীরা। তাদের ছবিগুলোকে শ্রেণী ও বয়সের ভিত্তিতে লাল ও সবুজ ক্যাটাগরি ভাগ করে সেরা ছবি বাছাই করা হয়। বিকেল ৪ টায় শুলকবহরের পুরাতন ওয়াপদা গলিতে শুরু হয় এই আয়োজন। 

আয়োজকেরা জানান, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এ প্রজন্মের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এমন আয়োজন। পাশাপাশি শিশুরা যাতে প্রতিদিনের চেনা রুটিনের বাইরে সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃষ্টিশীলতায় আরও জাগ্রত হয় আয়োজনে সেই বিষয়টিও গুরুত্ব পায়। 

প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক শফিকুল ইসলেমর ছেলে ফায়জুস মাসুম বলেন, শিল্পগুণ, প্রজ্ঞা আর মননে বাংলাদেশের শিল্পকলার গন্ডিকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করতে অবদান রেখেছিলেন তাঁর পিতা। সেই ধরনের প্রজ্ঞা, শিল্প ও সৃষ্টিশীল মননে নতুন প্রজন্মও যাতে আলোকিত হয় সেই লক্ষ্যেই এমন আয়োজনের সারথী হয়েছে অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম ফাউন্ডেশন। 
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও সাংবাদিক আজিজুল কদির। 

তিনি বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য নিঃসন্দেহে এটা ভালো উদ্যোগ। এতে ছোট শিশুদের প্রত্যেকেই তাদের সৃষ্টিশীলতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। রঙ-তুলির আচড়ে তারা ফুটিয়ে তুলেছে গ্রাম-বাংলা, মুক্তিযুদ্ধ ও চমৎকার সব চিত্রকর্ম। এমন আয়োজন নিয়মিতভাবে আয়োজনের জন্য আয়োজকদের আহ্বান জানান তিনি। 

আলোচনা ও স্মৃতিচারণে অংশ নেন দোয়েল ক্লাবের সদস্যরা। এসময় তারা পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করেন। 

বলেন, শৈশবে এমন বহু আয়োজনের স্বাক্ষী হলেও দীর্ঘদিন পর আবারো সবাই একত্র হয়ে এই আয়োজন করতে পারাটা সৌভাগ্যের। এমন আয়োজনে পাড়ায় পাড়ায় শিশু-কিশোরদের মধ্যে যেমন নতুন কিছু ও সৃষ্টিশীল কিছুতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ তৈরি হবে তেমনি তাদের মানসিকতায় আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন। মোবাইল ও গ্যাজেটের এই যুগে তারা কিছু সময়ের জন্য ভিন্ন কিছুতে সময় দিয়েছে। এটা তাদের জন্য একটি বার্তা। 

পুরো অনুষ্ঠান আয়োজনে ছিলেন, দোয়েল’র ইশতিয়াক আহমেদ, রুবাইয়াত সম্রাট, ইরফান আহমেদ জিদান ও ফায়সাল করিম। সহযোগিতায় ছিলেন, সৈয়দ ইশতিয়াক জুনায়েদ, আবদুল গফুর, আরিফ উদ্দিন আহমেদ, নাজিয়া হাসান, ও সালমান করিম।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়