বাঘাইছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত জেএসএস কর্মীর লাশ ৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার
রাঙামাটি প্রতিনিধি
রাঙামাটির বাঘাইছড়ির বঙ্গলতলীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা সুরেশ চন্দ্র চাকমা জীবেশ এর মরদেহ প্রায় ৫ ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়া ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি পাহাড়ের ঢাল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন খান।
এর আগে পুলিশ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হত্যাকান্ড সংগঠিত হওয়াস্থলে পৌঁছে লাশের সন্ধান না পেলে সে স্থানের আলামত দেখে খুঁজাখুজি শুরু করে, পরে দুপুর ৩টার দিকে লাশ উদ্ধারে সমর্থ হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার দুর্গম বঙ্গলতলি ইউনিয়নের বি ব্লক এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সুরেশ সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো বলে দাবি করেছে স্থানীয় একাধিক সূত্র। তবে তিনি সংগঠনটির কোন দায়িত্ব পালন করছেন কিনা— সেই সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি তারা, এমনকি এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কিছুই জানায়নি তার সংগঠন জনসংহতি সমিতিও।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, প্রাণনাশের ভয়ে তিনি নিয়মিতই নিজ বাড়ির বাইরে রাত্রিযাপন করতেন।
এদিকে সকালে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে কোন লাশেরও হদিস পায়নি আইনশৃংখলাবাহিনী। আইনশৃংখলাবাহিনী ধারণা, তারা পৌঁছানোর আগেই লাশ সরিয়ে নেয়া হয়। যার কারণে দীর্ঘসময় খোঁজাখুঁজির পর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
-সিভয়েস/এমডি/এএ
