Cvoice24.com

৭৭ বছর বয়সে ভোটার হলেন সন্তু লারমা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:২০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
৭৭ বছর বয়সে ভোটার হলেন সন্তু লারমা

৭৭ বছর বয়সে ভোটার হয়েছেন সন্তু লারমা।অস্থায়ী এনআইডি নাম্বার ব্যবহার করে করোনা ভাইরাসের (কোভিট-১৯) এস্টোজনিকার টিকাও গ্রহণ করেছেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, দেশের অন্যান্য নাগরিকের মতো নির্বাচন অফিসে এসে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য ছবি তোলাসহ সকল প্রক্রিয়া শেষ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন সন্তু লারমা।

একই সাথে তিনি করোনা ভাইরাসের (কোভিট-১৯) এস্টোজনিকার টিকা গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা। তিনি আরো জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে করোনা ভাইরাসের (কোভিট-১৯) টিকা রেজিষ্ট্রেসন করছেন এবং স্ব-শরীরে কেন্দ্রে এসে তিনি টিকাও গ্রহণ করেছেন।

জনশ্রুতি আছে, আঞ্চলিক পরিষদের আইনে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে নতুন ভোটার তালিকা প্রনয়ণের দাবিতে দীর্ঘ দিন ভোটার হওয়া থেকে বিরত ছিলেন সন্তু লারমা। অংশগ্রহণ করেনি কোন জাতীয় নির্বাচনের ভোটে। অবশেষে ৭৭ বছর বয়সে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তের জন্য ছবি তুলেছেন তিনি। 

কিন্তু দাবিপূরণ না হলেও করোনা ভাইরাসের (কোভিট-১৯) এস্টোজনিকার টিকা গ্রহণ না অন্যকোন কারণে তিনি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি তা জানা যায়নি জনসংহতি সমিতির কোন সূত্র থেকে ।

সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ের সাবেক গেরিলা নেতা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদপর্যাদা) জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা ১৯৪৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, রাঙামাটি জেলার মহাপুরম এলাকায় জন্ম নেয়া । তাঁর পিতার নাম মৃত চিত্ত কিশোর লারমা, মাতা মৃত সুভাষিনী দেওয়ান। বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৭ বছর। বর্তমানে তিনি রাঙামাটি শহরের কল্যাণপুর এলাকায় সরকারি বাসভবনে বসবাস করেন।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দুই যুগ পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন করেছে তৎকালীন গেরিলা সংগঠন শান্তিবাহিনী। এ অবস্থায় পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি  প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এ ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে অস্ত্র সমর্পণের মাধ্যমে চুক্তির স্বাক্ষর হয়, যা পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বা শান্তিচুক্তি নামে পরিচিতি পায়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়