Cvoice24.com

বীজের অভাবে চরম বিপাকে রাঙামাটির মাশরুম চাষীরা

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:২৮, ২৪ নভেম্বর ২০২১
বীজের অভাবে চরম বিপাকে রাঙামাটির মাশরুম চাষীরা

মাশরুম বীজ সেন্টারটি অনেকটাই পরিত্যক্ত

মাশরুমকে স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে রাঙামাটিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাশরুম বীজ উৎপাদন সেন্টার। উৎপাদনে যাওয়ার পর থেকেই এই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত বীজের ওপর নির্ভরশীল তিন পার্বত্য জেলার চাষীরা।

কিন্তু সক্ষমতার অনেক কম স্পঞ্জ উৎপাদন করায় কৃষকদের চাহিদা মেটাতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় চাষীরা।

২০০৯ সালে আসামবস্তি এলাকায় দেড় হাজার একর জায়গায় সেন্টারটি শুরু হওয়ার পর এখানে দৈনিক দুই হাজার পিস স্পঞ্জ তৈরি করলেও বর্তমানে এই সেন্টারে তৈরি করা হচ্ছে মাত্র ২০০ স্পঞ্জ। একটি প্রকল্পের আওতায় এই উপকেন্দ্রে বীজ উৎপাদন করা হতো। ২০১৩ সালে প্রকল্প শেষ হওয়ার পাঁচ বছর পর ২০১৮সালে দুই লক্ষ টাকার রিভলেভিং ফান্ডের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

মাশরুম বীজ উৎপাদন সেন্টারটি ঘুরে দেখা যায়, সেন্টারের স্পঞ্জ তৈরির কারখানার সিলিং ভেঙ্গে পড়েছে। ল্যাব ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র। ভেঙ্গে পড়া সিলিংয়ের একপাশে স্পঞ্জ তৈরির কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা। অনেকটাই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে অফিস, আবাসিক ভবন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। রাত হলেই সেন্টারে বসে মাদকাসক্তদের আসর।


মাশরুম চাষী কল্পনা চাকমা জানান, পর্যাপ্ত বীজ না পাওয়ার পাশাপাশি সময়মতো বীজ পাচ্ছেন না তারা। উৎপাদন ব্যাহত হচ্চে এতে। আর বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

মাশরুম চাষী বিফু পালিত জানান, এখানে আমরা পর্যাপ্ত বীজ পাই না যার কারণে বীজ ঢাকা থেকে সংগ্রহ করতে। এতে আমরাদের খরচ অনেকটা বেড়ে যায়। এই সেন্টারের পর্যাপ্ত বীজের ব্যবস্থার পাশাপাশি যদি আগের মত প্রশিক্ষণটা চালু থাকতো তাহলে অনেক বেকার যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো। 

রাঙামাটি মাশরুম সেন্টার উদ্যানতত্ত্ববিদ মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, বর্তমানে এই মাশরুম সেন্টারের প্রতিদিন ২০০টি করে বীজ উৎপাদন হচ্ছে। বাজারে এই বীজের চাহিদা অনেক বেশি। মাশরুম সেন্টারটি পুরোদমে সচল করতে সাভারের মূল কেন্দ্রে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। যদি প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখে তাহলে আমরা মাশরুম চাষীদের আবারো সময়মত বীজ সরবরাহ করতে পারবো বলে আশা রাখি। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়