করোনার রেডজোনের ব্যাখ্যা দিলেন রাঙামাটি সিভিল সার্জন
রাঙামাটি প্রতিনিধি
করোনার রেডজোনের ব্যাখ্যা দিলেন রাঙামাটি সিভিল সার্জন।-প্রতীকী ছবি
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। গত এক সপ্তাহে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শনাক্তের হার। এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ রেড জোনে রাখা হয়েছে ঢাকা ও রাঙামাটিকে। তবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে অনেকটায় শতাংশের মারপ্যাঁচে পড়ে রেড জোনে রাঙামাটি।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির তথ্য প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখানে সংক্রমণের উচ্চঝুঁকি, মধ্যম ঝুঁকি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঢাকা ও রাঙামাটি জেলা সংক্রমণের রেড জোন অর্থাৎ উচ্চঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ৬ জেলা এবং কম ঝুঁকি অর্থাৎ সবুজ জোনে রয়েছে দেশের ৫৪ জেলা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উচ্চঝুঁকিতে থাকা ঢাকায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং রাঙামাটিতে শনাক্তের হার ১০ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬.৬৭%। গত এক সপ্তাহে ২১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮ জনের। শনাক্তের হার ৮.২১%।
রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা জানান, অনেকটায় শতাংশের মারপ্যাঁচে পড়ে রাঙামাটি রেড জোনে। যারা বর্তমানে আক্রান্ত আছেন তাদের মধ্যে শুধু একজন আইসোলেশন সেন্টারে আছে বাকি সবাই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এই শীর্ষ কর্মকর্তা রাঙামাটির জনগনের প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন জানান, রাঙামাটিবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জেলা প্রশাসন নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে, মাস্ক বিতরণ করছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করছে।