Cvoice24.com

ছয় বন্ধুর কাপ্তাই ভ্রমণ/
মাঝির বাঁশে রক্ষা চার বন্ধুর জীবন

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ১১ মে ২০২২
মাঝির বাঁশে রক্ষা চার বন্ধুর জীবন

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার  সীতা ঘাটে কর্ণফুলী নদীতে চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা ৬ বন্ধু শখের বসে গোসল করতে নেমে ঘাটে থাকা মাঝির বাঁশেই রক্ষা পেল চার বন্ধ, একবন্ধু নদীতে ডুবে মারা গেছে অন্যজন এখনো নিখোঁজ। আলোর অভাবে উদ্ধার অভিযান সকাল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

কর্ণফুলী নদীতে ডুবে মারা যাওয়া তরুণের নাম লোকেশ বৈদ্য, সে শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। সে তার পরিবারের সাথে চট্টগ্রামে বসবাস করে। আর নিখোঁজ রয়েছে অপূর্ব সাহা।

বুধবার (১১ মে) চট্টগ্রাম থেকে সীতা ঘাটে ঘুরতে  আসা ৬ বন্ধু দুপুর তিনটার দিকে শখের বসে কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামলে স্রোতের টানে সকলে ডুবে যেতে থাকে। তাদের একজন ছাড়া কেও সাঁতার না জানায়, তাদের ডুবে যেতে দেখে ঘাটে থাকা মাঝি বাঁশ বাড়িয়ে দিলে তিন বন্ধু উঠে আসে। আর তাদের মধ্যে সাঁতার জানা বন্ধু ডুবে যাওয়া সময় দিয়ান সাহাকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। 

পরে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল অভিযান চালিয়ে বিকাল পাঁচটার দিকে লোকেশ বৈদ্যের মৃতদেহ উদ্ধার  করে। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অভিযান চালালেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি নিখোঁজ অপূর্ব সাহাকে।

আলোর অভাবে সন্ধ্যা ৭টায় সকাল পর্যন্ত উদ্ধার  অভিযান স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল।

উদ্ধার হওয়া দিয়ান সাহা বর্তমানে সুস্থ আছে এবং লোকেশ বৈদ্যের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে আইনি প্রকৃয়া শেষে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান বলেন, " চট্টগ্রাম নগর থেকে তাঁরা কাপ্তাইয়ে ঘুরতে এসেছে বলে জানা গেছে। বিকেলে তাঁরা গোসল করতে নামলে নদীতে তলিয়ে যায়। তাদের একজনকে ডুবে যাওয়ার সময় উদ্ধার করা গেলেও দুই জন্য ডুবে যায়। ফায়ার সার্ভিস ও নৌ বাহিনীর ডুবুরি দলকে খবর দিলে তাঁরা অভিযান চালান। তারা  অভিযান চালিয়ে লোকেশ বৈদ্যর মরদেহ উদ্ধার করে এবং নিখোঁজ থাকা অপূর্ব সাহাকে  উদ্ধারে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চলায়।

 সন্ধ্যা ৭টায় আলোর অভাবে উদ্ধার অভিযান আজকের মতো সমাপ্ত করা হয়েছে, আগামীকাল সকাল থেকে অর্পূব সাহাকে উদ্ধারে আবারো উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে। 

তিনি আরো জানান, লোকেশ সাহার মরদেহ পুলিশের কাছে আছে। পরিবারের লোকজন এসে পৌঁছালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়