Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড

রাঙামাটিতে টাকা ছাড়া লাশে হাত দেয় না ডোম

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ৭ আগস্ট ২০২২
রাঙামাটিতে টাকা ছাড়া লাশে হাত দেয় না  ডোম

রাঙামাটির মর্গে টাকা ছাড়া লাশ কাটছেন না ডোম। এনিয়ে বিপদের মুর্হূর্তে ওই ডোমের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছেন মৃত ব্যক্তির স্বজনেরা জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন মর্গে টাকা ছাড়া লাশ না কাটার বিষয়ে আগে থেকে অভিযোগ থাকলেও, বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে তকাল কাপ্তাই হ্রদে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যাওয়া পাহাড়তলীর ছেলে রুবায়েত ইসলামের (২৬) ময়নাতদন্ত নিয়ে।

শনিবার বিকেলে রুবায়েতের লাশ উদ্ধার করে নেওয়া হয় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে। তবে রবিবার ডোমের প্রত্যাশিত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ময়নাতদন্ত করেনি ডোম। পরে বাধ্য হয়েই তার চাহিদা মতো টাকা দেয় নিহতের স্বজনেরা। এরপরই ময়নাতদন্ত শুরু করে ডোম।

পানিতে ডুবে মারা যাওয়া রুবায়েতের বড় ভাইয়ের শ্বশুর খোরশেদ আলম বাবু অভিযোগ করেন, রবিবার সকালে আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে যাই। সেখানে ডোম আমাদের জানায় ময়নাতদন্তের জন্য নরমালি করে দিলে আমরা যা দিই, তাই হবে। তবে ভালো করে কাজ করে দিলে তাকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দিতে হবে। পরে বিষয়টি দায়িত্বরত ডাক্তারকে জানাই। কিন্তু ডাক্তার তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে বেঁকে যায় ডোম। সাড়ে ৪ টাকার নিচে ৫ টাকা কমেও লাশ কাটবেন না বলে জানান। পরে বাধ্য হয়েই তার কথা মত টাকা দিতে হয়েছে। সকাল থেকে মর্গে ঘুরে ঘুরে দুপুর ১টায় লাশ নিয়ে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শহীদুজ্জামান মহসীন রোমান জানান, গতকাল কাপ্তাই হ্রদে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনায় মৃত যুবকের এক স্বজন আজ (রোববার) সকাল ১১টায় আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা আমাকে জানায়, ডোম বলছে পোস্টমর্টেম যদি ভালো করে করা হয় তাহলে এক রেইট আর নরমালি করা হলে আরেক রেইট। পরে আমি হাসপাতালের আরএমওকে বিষয়টা জানাই, তিনি আমাকে জানান এটা আমাদের বিষয় না, এটা সিভিল সার্জন দেখেন। আমি পরে আমি বলি, আপনাদের যদি লাশ কাটার টাকা নিয়ে আলাদা রেইট থাকে, সেক্ষেত্রে চার্ট থাকলে তবে সেটা ঝুলিয়ে রাখেন, মানুষ দেখুক। রোমান বলেন, 'রাঙামাটিতে চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই অসহায়।

এদিকে এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গের কর্মরত ডোম বিনয় কুমার ত্রিপুরার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে আলাপ করবেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর জানান, মৃতের স্বজন ও ডোমের মধ্যে এক ধরণের কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে আমি তাদের নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করেছি। তারা ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বুঝে নিয়ে চলে গেছেন।

রাঙামাটি জেলার সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য কোন টাকা দিতে হয় না। টাকা না দেওয়ায় লাশ না কাটার বিষয়টি সঠিক নয়। লাশ কাটবে কী কাটবে না সেটা ডোমের বিষয় নয়। যথাযথ প্রমাণ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়