Cvoice24.com

মধ্যরাতে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০১:২৮, ১৮ আগস্ট ২০২২
মধ্যরাতে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু

দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও চিরচেনা রূপে ফিরছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। দীর্ঘ ১০৭ দিন পর বুধবার (১৭ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে শুরু হয়েছে মাছ আহরণ।

প্রথাগত নিয়মেই হ্রদ সৃষ্টির পর থেকে কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও অবমুক্ত করা মাছের পোনার স্বাভাবিক বৃদ্ধি জন্য প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকে। তবে এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পায়নি। সে জন্য পোনামাছ বাঁচাতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ দুই দফায় ১৭ দিন বৃদ্ধি করা হয়। ফলে এবার ১০৭ দিন পর পুনরায় মাছ ধরা শুরু হলো। 

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি বিপণনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘১৭ আগস্ট মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে জেলেরা মাছ আহরণে নেমেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মৎস অবতরণ ঘাটে মাছ আসতে শুরু করবে এবং তা নানা প্রক্রিয়া শেষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রয় শুরু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর কাপ্তাই হ্রদ থেকে ১৭ হাজার ৮৭০ মেট্রিক টন মাছ আহরণ হয়, সেখান থেকে রাজস্ব আদায় হয় ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। আর ২০২২ সালে হ্রদে পোনা অবমুক্ত করা হয় ৬৪ মেট্রিক টন, যা হ্রদ সৃষ্টির পর থেকে সর্বোচ্চ। তাই প্রত্যাশা করছি এ বছর আরও অধিক পরিমাণ মাছ আহরণের মাধ্যমে গতবারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।’

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলাধার বলা হয় রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদকে। প্রায় ৭২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাপ্তাই হ্রদটি রাঙামাটির আট উপজেলা ও খাগড়াছড়ির দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত। হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। বর্তমানে পানি রয়েছে ৯৬ এমএসএলের কাছাকাছি। মূলত ষাটের দশকে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে এই হ্রদের সৃষ্টি হলেও বর্তমানে স্বাদু পানিতে মৎস্য উৎপাদন ও সরকারের রাজস্ব আদায়ে ভূমিকা রাখছে এই হ্রদটি। এই হ্রদে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে ২৫ হাজার জেলে। মাছ শিকার বন্ধকালীন জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ কেজি করে চাল খাদ্যসহায়তা হিসেবে দেয়া হয়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়