মেঘের রাজ্যে পর্যটকের খরা

শীতের শিশির ভেজা হিমেল পরশের দেখা মিললেই পার্বত্যাঞ্চলের পর্যটন মৌসুমের দুয়ার খুলে। মেঘের রাজ্য সাজেক থেকে শুরু করে জেলার পর্যটন স্পটগুলো দিনেরাতে পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকে। সপ্তাহের ছুটির দিনে সেই পদচারণা বাড়ে কয়েকগুন।

তবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় খরা শুরু হয়েছে পাহাড় হ্রদের এই জনপদে। মেঘের রাজ্য সাজেক থেকে শুরু করে জেলার সব পর্যটন কেন্দ্রের একই অবস্থা। অবরোধ হরতালের কারণে সাজেকের নভেম্বর মাসের শতভাগ বুকিং বাতিল করেছে পর্যটকরা।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাজেকে  ১২৬টি কটেজ রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পর্যটক থাকতে পারে। প্রতিবছরের মতো এইবারও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে প্রায় প্রতিটি কটেজ বুকিং হয়েছিল। কিন্তু অবরোধ হরতালের কারণে নভেম্বর মাসের শতভাগ বুকিং পর্যটকরা বাতিল করেরাঙামাটি শহরের হোটেল মোটেলগুলোও জানিয়েছে, অবরোধ হরতালের কারণে সকল বুকিং বাতিলের কথা। তবে মাঝে মধ্যে দুই একজন করে পর্যটক আসছে। এতে হোটেল মোটেলগুলোর কর্মচারীদের বেতন তো দূরে থাক হোটেল মোটেলের বিদ্যুৎ বিলই উঠছে না। একই অবস্থা পর্যটক নির্ভর ট্যুরিস্ট বোটগুলোরও।

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুর্পণ দেব বর্মন জানিয়েছেন, এখন সাজেক পর্যটনের ভরা মৌসুম। কিন্তু অবরোধ হরতালের কারণে পর্যটকরা ভয়ে আসছে না। পাশাপাশি এই সময়টাতে প্রতিবছরের মতো এই বছরও সরকারি ছুটির দিনসহ অন্যান্য দিনগুলোতে কমবেশি অগ্রিম বুকিং ছিল কটেজগুলো। পরে অবরোধ হরতালের কারণে এখনো পর্যন্ত নভেম্বর মাসের সকল অগ্রিমবুকিং বাতিল করেছে পর্যটকরা।

রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, আমাদের প্রায়সব অগ্রিম বুকিং বাতিল হয়েছে। দুই একজন পর্যটক আসছে, তাও খুবই কম।