Cvoice24.com

তিন দিনে ৫৫ টন মাছ আহরণ কাপ্তাই উপকেন্দ্রে

কাপ্তাই-রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
তিন দিনে ৫৫ টন মাছ আহরণ কাপ্তাই উপকেন্দ্রে

ট্রলার থেকে ড্রামে ড্রামে নামিয়ে আনছে জেলেরা। চলছে দরদাম। চার মাস বন্ধ থাকার পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরুর পর এমন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন কাপ্তাই উপকেন্দ্রে। গত তিনদিনে প্রায় ৫৫ টন মাছ আহরণ হয়েছে এ উপকেন্দ্রে। এতে সরকারের প্রায় ১০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। 

কাপ্তাই মৎস্য আহরণ উপকেন্দ্রের কেন্দ্র প্রধান মো. জসীম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ৪ মাস পর গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু হয়। এতে ১ম দিনে কাপ্তাই উপকেন্দ্রে ১৪ টন, ২য় দিনে ২০ টন এবং ৩য় দিনে ২১ টন মৎস্য আহরণ হয়েছে। এছাড়া বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ৪র্থ দিনেও প্রায় ২০ টনের অধিক মৎস্য আহরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে জেলেদের মাঝে মাছ ধরা শুরুতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। প্রথমদিনে মাছ আহরণ একটু কম হলেও ২য় দিন থেকে পুরোদমে চলছে মৎস্য আহরণ কার্যক্রম। এছাড়া দিন দিন মৎস্য আহরণ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা রয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে মাছ আহরণের পরিমাণ সম্পর্কে স্থানীয় জেলে রহমান আলী, সুধীর দাশ, মো. শফিক সহ কয়েকজন জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার কাপ্তাই হ্রদের আইড় মাছের আহরণ ও আকার বেড়েছে। তবে বিশেষ করে কেচকি ও চাপিলা মাছ ছোট পাওয়া যাচ্ছে। অন্য বছরের চেয়ে এবার কাপ্তাই হ্রদে পানি অনেকটা বেশি। যে কারণে জেলেরা যেসব জায়গায় জাল ফেলে থাকেন সেখানে ওই পরিমাণ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। বৃষ্টিপাত ও ঢলের কারণে হ্রদের পানি ঘোলা হওয়ার কারণে মাছ পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে বাড়তে পারেনি। তবে অনেকেই আশা করছেন, কয়েকদিন পর কাপ্তাই হ্রদে পানি পরিষ্কার হলে মাছ আরো বেশি পাওয়া যাবে।

কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলেন, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হওয়াতে জেলেদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আশা করা যাচ্ছে, মৎস্য আহরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জেলে এবং ব্যবসায়ীরা অনেক লাভবান হবেন।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছরের পহেলা মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন। কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের সুষম বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: