রাঙামাটিতে ২৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ
রাঙামাটি প্রতিবেদক, সিভয়েস২৪
বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার ও বিদ্যালয় বন্যাকবলিত হওয়ায় পার্বত্য রাঙামাটির চার উপজেলার ২৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে উদ্বিগ্নতা দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ শিক্ষকদের মাঝে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, টানা ভারী বৃষ্টিপাতে বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় এবং বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় রাঙামাটির চার উপজেলার ২৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে বাঘাইছড়ি দুটি, লংগদু ২০টি, জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলা একটি করে স্কুল রয়েছে।
লংগদু উপজেলায় শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ১৩টি, বন্যাকবলিত তিনটি এবং রাস্তাঘাট ডুবে গিয়ে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হতে না পারায় চারটি সহ মোট ২০টি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
ঝর্ণাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী আফসানা শারমিন বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই স্কুলে যাতায়াতের রাস্তা ডুবে যায়। আর এখন স্কুলেও পানি ঢুকে গেছে। তাই আমরা ক্লাসে বসতে না পারায় ক্লাস বন্ধ রাখাা হয়েছে।’
মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.কামাল হোসেন জানান, ‘টানা বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের মাঠ ডুবে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে পানি চলে আসছে। এতে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না। অভিভাবক সহ আমরা বন্যার এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।’
লংগদু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এম কে ইমাম উদ্দীন বলেন, ‘কিছু বিদ্যালয় বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার, আবার কিছু বিদ্যালয় বন্যাকবলিত এবং কিছু এলাকায় রাস্তা-ঘাট ডুবে গিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে না পারাসহ সব মিলে উপজেলার ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে স্কুলগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।’
রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হৃষীকেশ শীল বলেন, ‘জেলার চারটি উপজেলায় ২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার ও বিদ্যালয়ে পানি উঠায় ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে না পারার কারণে ক্লাস স্থগিত রয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি, কয়েকদিন সময় লাগবে।’