কাপ্তাইয়ে আমনের বাম্পার ফলন
অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় ফসলের মাঠজুড়ে সবুজ আমন ধানের সমারোহ। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এই সবুজের সমারোহের প্রতিটি পাতায় স্বপ্ন বুনছে কৃষকরা। মনে দোলা দিচ্ছে অন্যরকম আনন্দ। চলতি বছর আমন মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি কম ছিল। তবে এখন প্রয়োজন অনুযায়ী বৃষ্টি হওয়ায় এবং এর পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। ইতিমধ্যে প্রতিটি ফসলি জমিতে ধানের চারা সবুজ রং ধারণ করে পরিপক্ক হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ৩ মাসের মধ্যে এগুলো সোনালী রং ধারণ করে তার চিরচেনা রূপ ফিরে পাবে।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ১২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। যার মধ্যে ব্রি-ধান ৭৫, ৮৭, ৯০,৯১, ৯৩, ৯৪, ৯৫ এবং বিনা ধান- ১৭ এর আবাদ হয়েছে।
এছাড়া উপজেলার সমতল ভূমির পাশাপাশি পাহাড়ি অঞ্চলেও আমন ধানের ভালো চাষ হয়েছে। এসব ধানের জাতগুলোর সাধারণত ভালো ফলন হয়ে থাকে। তাই এবারও কাপ্তাই উপজেলার স্থানীয় কৃষক এবং কৃষি বিভাগের সদস্যরা আশা করছেন আমনের বাম্পার ফলন হবে।
সম্প্রতি উপজেলার স্থানীয় মো. শাহাজাহান, পুলচিং মারমা, স্বপন দাশসহ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, বর্তমানে ফসলের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। বিশেষ করে ফসলের যত্ন নেওয়ার জন্য এখনই গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই তারা ফসল পরিচর্যায় রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কৃষকরা এখন ফসলের পরিচর্যার পাশাপাশি নিয়মিত পোকা-মাকড়ের আক্রমন থেকে ধান চারা রক্ষায় কাজ করছে। সেইসাথে নিয়মিত জমির পানি দেখছেন তারা। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি যদি খারাপ হয় তবে তাদের অনেক ক্ষতি হবে বলে আশংকা করছেন। বিশেষ করে টানা বৃষ্টিতে বন্যা বা জলাবদ্ধতা কিংবা পাহাড়ধসের ঝুঁকি মোকাবেলা করা গেলে ধানের ভালো ফলন হবে বলে তারা আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে দ্রুত গতিতে আমনের চারা বেড়ে উঠছে বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইমরান আহমেদ জানান, প্রতি বছরই কাপ্তাই উপজেলায় আমনের ভালো ফলন হয়ে থাকে। তাই আমরা এবারও আশা রাখছি আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমনের পরিচর্যা ও কৃষকদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। কাপ্তাই উপজেলার সমতল থেকে দুর্গম সব অঞ্চলেই কৃষি বিভাগ কর্তৃক কৃষকদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। তাই স্থানীয় কৃষকদের মাঝেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। আমরা আশা করছি, এবারও কাপ্তাইয়ের কৃষকরা আমনের ভালো ফলনে লাভবান হবেন।