Cvoice24.com

কাপ্তাইয়ে দুটি পুস্তকের মোড়ক উন্মোচন
‘তঞ্চঙ্গ্যা ভাষা টিকিয়ে রাখতে সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসতে হবে’

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি, সিভয়েস২৪

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ১১ অক্টোবর ২০২৪
‘তঞ্চঙ্গ্যা ভাষা টিকিয়ে রাখতে সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসতে হবে’

রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় রচিত দুটি পুস্তকের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) উপজেলার বড়ইছড়িস্থ বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুস্তক দুটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। 

পুস্তক দুটির মধ্যে একটি তঞ্চঙ্গ্যা বর্ণমালা শিক্ষা বিষয়ক পুস্তক যার নাম ‘আধুনিক তঞ্চঙ্গ্যা বর্ণমালা শিক্ষা’ এবং অপরটি তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় রচিত প্রথম কাহিনীকাব্য যার নাম ‘পেয়ংখুলা'ব ছ’। গ্রন্থ দুটি রচনা করেন তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের জনপ্রিয় সাহিত্যিক ও ভাষাকর্মী চন্দ্রসেন তঞ্চঙ্গ্যা এবং প্রকাশ করেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার অমল বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা। 

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দীপ্তিময় তালুকদার। অতিথি ছিলেন ওয়াগগা মৌজার হেডম্যান  অরুন তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাপ্তাই অঞ্চলের সভাপতি অজিত কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, দেবতাছড়ি-রৈস্যাবিলি অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জয়ধন তঞ্চঙ্গ্যা। 

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়াগগা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবিমল তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের নৃত্য প্রশিক্ষক সুফলা তঞ্চঙ্গ্যা, সুজন তঞ্চঙ্গ্যাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপ্তিময় তালুকদার বলেন, ‘তঞ্চঙ্গ্যা জাতির ভাষা, বর্ণমালা ও সাহিত্যকে টিকিয়ে রাখতে হলে সামর্থ্যবান সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি যারা সাহিত্য, সাংস্কৃতি, সংগীত নিয়ে কাজ করে তাঁদেরকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে অমল বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা জানান, লেখকের সাথে পূর্বে পরিচয় ছিল না। লেখকের প্রকাশিত ‘পাত্তুরু তুরু’ কাব্যগ্রন্থ পাঠ করে তিনি তাঁর পরিচয় জানতে কৌতুহল বোধ করেন। অতপর ২০২৩ সালে লেখকের সম্পাদিত তঞ্চঙ্গ্যা গানের সংকলন ‘চিত্রাংফুল’ প্রকাশ করেন। সেই ভালোবাসা থেকে এ বছর লেখকের এই দুটি গ্রন্থ প্রকাশ করার উদ্যোগ নেন। 

শিক্ষক সুবিমল তঞ্চঙ্গ্যাবলেন, ‘সাহিত্য রচনা এত সহজ নয়। চাইলে যে কেউ সাহিত্য রচনা করতে পারে না। সাহিত্য রচনার জন্য প্রয়োজন প্রচুর ধৈর্য, পরিশ্রম ও মেধা।’

ডা. জয়ধন তঞ্চঙ্গ্যা ও অপূর্ব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা নিজ এলাকার সাহিত্যিক হিসেবে চন্দ্রসেন তঞ্চঙ্গ্যাকে নিয়ে গর্ববোধ করেন। ডা. জয়ধন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে লেখককে সম্মাননা প্রদানের আহ্বান জানান।

সংগীত শিল্পী সুমনা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘লেখকের আরও দুটি গ্রন্থ আর্থিক দৈন্যতায় প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানালে প্রধান অতিথি দীপ্তিময় তালুকদার একটি পুস্তক নিজ খরচে ছাপানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন।’ 

উপস্থিত অতিথিরা প্রকাশক ও আয়োজক অমল বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যাকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: