Cvoice24.com

কাপ্তাইয়ের বাজারে মিলছে বল সুন্দরী বরই

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি, সিভয়েস২৪
১৬:৪১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫
কাপ্তাইয়ের বাজারে মিলছে বল সুন্দরী বরই

নাম তার বরই, কেউ বা ডাকে কুল। তবে ছোট থেকে বড় সবার কাছেই বেশ জনপ্রিয় এই ফলটি। দেখতে সুন্দর, খেতে টক, মিষ্টি। সুস্বাদু এই ফলটির কদর রয়েছে সব খানে। পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড় ও সমতলে বেশ ভালো ফলন হয়ে থাকে ফলটির। গত কয়েক দশকে পার্বত্য অঞ্চলে আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস ও অন্যান্য ফলনের পাশাপাশি কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয় চাষীরা। ন্যায্যমূল্য পাওয়া, অনুকূল আবহাওয়া ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ এবং রোগবালাই কম হওয়ায় কুল চাষ দিন দিন বাড়ছে। অনেক চাষী মৌসুমি চাষাবাদের পরিবর্তে স্থায়ীভাবে নিজের জমিতে কুল চাষ করছেন।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, পার্বত্য চট্টগ্রামে বাউ কুল, আপেল কুল, নারকেল কুল, বল সুন্দরী এবং কাশ্মীরী কুলের আবাদ হচ্ছে। তবে খেতে টক হওয়ায় দেশী জাতের কুলের চাহিদা কম। এক্ষেত্রে মিষ্টি জাতের কুলের চাহিদা রয়েছে সর্বত্র। 

সম্প্রতি কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকায় চাষকৃত এসব বরই বিক্রয় করছেন চাষীরা। তবে সেখানে বল সুন্দরী কুলের দেখা মিলছে বেশি। ক্রেতারাও এই সুস্বাদু ফলটি কিনতে ভিড় করছেন। 

কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে কুলের চাষ হয়। তৎমধ্যে বল সুন্দরী জাতের বরইয়ের চাষ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। হেক্টর প্রতি ২০ টনে সর্বমোট ৩শ টন কুলের চাষ হচ্ছে কাপ্তাইয়ে। 

সমিরণ তঞ্চঙ্গ্যা, স্বপ্না মারমাসহ কয়েকজন চাষী জানান, পাহাড়ের এসব কুল খেতে বেশ সুস্বাদু হওয়ার সারাদেশে কদর রয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বেশিভাগ বাগানে কুল পরিপক্ক হয়েছে। যার ফলে বর্তমানে স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে এ বরই বিক্রয় হচ্ছে। 

কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইমরান আহমেদ জানান, সাধারণত রবি মৌসুম অর্থাৎ শীতকালে এই কুল চাষের ফলন হয়ে থাকে। উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে এই কুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। এবং উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্থানীয় কুলচাষীদের বিভিন্ন সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এ অঞ্চলের কুল চাষীরা লাভবান হচ্ছেন।