Cvoice24.com

স্টেশন নজরদারিতেই কাটছে ঈদের আনন্দ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৫৭, ১৪ মে ২০২১
স্টেশন নজরদারিতেই কাটছে ঈদের আনন্দ

থমথমে নিরবতা। ঈদের দিনে অন্যরকম চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের চিত্র। আগের কর্মব্যস্ত সেই স্টেশনে
ট্রেনের হুইশেল শোনাই যায় না। করোনার জেরে বহুদিন ধরে বন্ধ যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো। ঈদের ছুটিতে সেগুলোর কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে পণ্যবাহী ট্রেন। এভাবে নিয়মে তাল মিলিয়ে একে একে সব ট্রেন ছুটিতে গেলেও দায়িত্ব বেড়েছে 'রেলের পাহারাদারের'। তাই তো ঈদেও ছুটি নেই তাদের। মা, বাবা, সন্তান কিংবা প্রিয়জনের দেখাও পান না তারা।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, করোনার জেরে বন্ধ আর ঈদের ছুটিতে থাকা ট্রেনের, রেক, ইঞ্জিন, বগি রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন, ইয়ার্ডে, 
পাহাড়তলীর কারখানায়। তাছাড়া চট্টগ্রামের সিআরবিসহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ঈদকে কেন্দ্র করে সেগুলোতে হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। যদিও এ কথা মোটেও নতুন নয়। তাই প্রতিবারের মতো এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সতর্ক অবস্থানে নিয়োজিত আছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)।

কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রেন বন্ধ থাকলেও রেলওয়ের পরিবহন ও বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তারাও  একইভাবে যুক্ত আছেন এ কাজে। 

আরএনবির চিফ ইন্সপেক্টর সালামত উল্লাহ সিভয়েসকে জানান, প্রতিদিনের মতো ঈদের দিনেও ২৪ ঘন্টা রেল স্টেশনে দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে সদস্যদের মাঝে। সিসিটিভি ক্যামেরায়ও নজর রাখা হয়েছে। ট্রেন চলাচল একদমই বন্ধ থাকার কারণে স্টেশনের ফটকগুলো বন্ধ। 

আরএনবির এক কর্মকর্তা সিভয়েসকে বলেন, 'টানা  ৩ বছর ঈদে বাড়ি যাওয়া হয়নি। স্ত্রী-সন্তান চট্টগ্রামেই আছে। ঈদের দিনটাই মা-বাবাকেই বেশি মনে পড়ে। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব এরকমই। প্রতিবছর এভাবে আমাদের ঈদ কেটে যায়।'

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রতিবছর ঈদের নামাজে রেলের স্থাপনা পাহারায় থাকে একটি দল। নামাজ শেষে ওই দলের কেউ যদি মুসলিম থাকেন তাহলে দ্বিতীয় জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন তারা। আর প্রথম জামাতে নামাজ আদায়কারী সদস্যরা কাজে যোগ দেন। 

তবে আরএনবি ও রেল পুলিশের সদস্যরা বলছেন, মূলত ঈদের আনন্দ সহকর্মীদের সাথেই ভাগ করে নেন তারা। ঈদের দিন বাড়িতে কথা হয় ভিডিও কলে। আবার যাদের পরিবার/স্বজন চট্টগ্রামে থাকেন রোস্টার ডিউটি শেষে তারা ছুটে যায় প্রিয় মুখগুলো  দেখতে। 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী চিফ সুপারিটেনন্ডেট সাহেব উদ্দিন সিভয়েসকে বলেন, 'ট্রেন না চললেও 
ঈদে আমাদের দায়িত্ব থাকে। সবকিছু মনিটরিং করতে হয়।'

স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী সিভয়েসকে বলেন, 'এবারও রমজানে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় কাজের চাপ কম ছিল। ঈদে পার্সেল ট্রেনও বন্ধ। কিন্তু আমাদের ডিউটি চলছে। স্টেশনে সব কিছু ঠিকঠাক আছে কি'না তার খেয়াল রাখতে হয়। স্টেশনে ট্রেনের রেক রাখা আছে, সংশ্লিষ্টদের বলে দেওয়া হয়েছে সব কিছুর খেয়াল রাখতে। আমরা সবাই মিলে তো একটা পরিবার। ঈদের আনন্দ এ পরিবারের সাথেই কাটছে।'

-সিভয়েস/এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়