Cvoice24.com

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল যুদ্ধজয়ের মন্ত্র— চসিক মেয়র

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ৭ মার্চ ২০২১
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল যুদ্ধজয়ের মন্ত্র— চসিক মেয়র

চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ যুদ্ধজয়ের মন্ত্র ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

মেয়র বলেন, ‌‘আমরা যারা রণাঙ্গনে ছিলাম এবং অস্ত্র হাতে হানাদার বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম- বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি ছিলো আমাদের জন্য যুদ্ধজয়ের মন্ত্র।’

রোববার (৭ মার্চ) নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও চসিক পরিচালিত কিন্ডার গার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ কংকন দাশের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন চসিকের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, পুলক খাস্তগীর, চসিক ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক খান, কর কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

এতে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ দীর্ঘ একুশ বছর পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত হওয়ায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিসর্জন দেয়া হয়েছিলো।’

৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে একটি কৌশলগত নির্দেশনা হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘অনেকেই এক সময় বলতেন ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি কেন? এর উত্তর হল- বঙ্গবন্ধু একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তিনি যদি ৭ মার্চ সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা করতেন তাহলে পাকিস্তানিরা তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করতো এবং ৭ মার্চ রেসকোর্সে পাকিস্তানি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে ও ঢাকা নগরীকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে লক্ষ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করতো।’

এসময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বারটি বিদেশি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। এই ভাষণ গভীর আবেগপূর্ণ ও উপলব্ধিময়। তাই এই ভাষণ নিয়ে গবেষণা করার প্রয়োজন আছে এবং শিক্ষার্থীদের অধ্যয়ন-পাঠ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

আলোচনা সভার শুরুর আগে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয় এবং পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার মাধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

-সিভয়েস/এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়