কর্ণফুলীর ড্রেজিং নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সহায়ক হবে : মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর নগরী হিসেবে দেশ-বিদেশে খ্যাত। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরীর উন্নয়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে এখন থেকে কাজ শুরু করতে না পারলে এর সুফল দৃশ্যমান হবে না। বন্দর যে বে-টার্মিনাল নির্মাণ করতে যাচ্ছে তা শেষ হলে চট্টগ্রাম নগরীর চেহারা পাল্টে যাবে। অন্যদিকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ সম্পন্ন হলে একাধিক উপ-শহর গড়ে উঠবে। এখন দরকার সব সেবা সংস্থার উন্নয়ন কাজের প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন।

আজ সোমবার (১৫ মার্চ) চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহানের নেতৃত্বে বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে নগরের টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।

চসিক মেয়র বলেন, ‘নগরীর খাল-নালাগুলো অবৈধ দখলদাররা দখল করে রেখেছে। তাদের কাছ থেকে এসব উদ্ধারের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হবে।’ 

কর্ণফুলীর নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং এর ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে না পারলে বন্দরকে ঘিরে যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তার কোন সুফল পাওয়া যাবে না, তদুপরি নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যাও নিরসন হবে না।’ 

মেয়র বলেন, ‘পলিথিন বন্ধ করার ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সব মহলের সোচ্চার হওয়া আজ সময়ের দাবি।’ 

চসিক মেয়রের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে আমরা সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে যাব। নগরীর উন্নয়নে কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাইলে সে ব্যাপারে চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে বন্দর কর্তৃপক্ষ সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘লালদিয়ার চর এলাকায় বেদখলকৃত ভূমি উদ্ধার করতে গিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহলের যে সহযোগিতা পেয়েছি তা অভিনন্দনযোগ্য।’

এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম চৌধুরী, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরী, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা হুমায়ন কবীর ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মুহাম্মদ ওমর ফারুক, ডেপুটি ম্যানাজার স্টেট মিজানুর রহমান, সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা এম শামসুল হুদা প্রমুখ।

-সিভয়েস/এপি