Cvoice24.com

আয় বাড়াতে চসিকের চোখ ঠান্ডাছড়িতে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪৩, ৩ এপ্রিল ২০২১
আয় বাড়াতে চসিকের চোখ ঠান্ডাছড়িতে

সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে ঠান্ডাছড়ি রিসোর্ট পরিদর্শনে গিয়েছেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী

অর্থের টানাপোড়েনে বেহাল দশা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের। পরিপূর্ণ নাগরিক সেবা তো দূরেই থাক, চসিকে কর্মরতদের বেতন পাওয়া না পাওয়া নিয়েও আছে সংশয়। এমন অবস্থায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঁচড়ে পড়ছে নগরের বুকে। এতে করে আবারও রাজস্ব আদায়ে ভাটা নামার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

ঠিক এমনই প্রেক্ষাপটে শনিবার (৩ এপ্রিল) সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে নগরের দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের অবস্থিত চসিকের ঠান্ডাছড়ি রিসোর্ট পরিদর্শনে গিয়েছেন চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

এসময় সিটি মেয়র বলেন, ‘বিশাল এই ভূ-সম্পত্তিতে পর্যটন ও বিনোদন স্পটসহ অনেক ছোট-বড়-মাঝারি আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। এতে চসিকের সক্ষমতার ভিত মজবুত হবে।’ এই লক্ষ্যে তিনি চসিকের সকল কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা যাচাই ও উপায় অন্বেষণের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ভূ-সম্পত্তি রয়েছে সেগুলোর সদ্ব্যবহার এবং সেখানে পরিকল্পিত আয়ববর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হলে নগরীর উন্নয়ন ও জনদুর্ভোগ লাঘবে আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বনির্ভরতা নিশ্চিত হবে।’

রাজস্ব আদায়ের সাথে আয়ের সামঞ্জস্যহীনতার কথা ইঙ্গিত করে চসিক মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ হয় নগরবাসীর দেয়া কর, রাজস্ব আদায় বা কখনো কখনো সরকার থেকে পাওয়া বরাদ্দ থেকে। এ দিয়ে নগরীকে সকলের বাসযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা সম্ভব নয়।’

ঠান্ডাছড়ি রিসোর্ট মহিউদ্দিন চৌধুরীর একটি অনন্য কীর্তি উল্লেখ করে মেয়র রেজাউল বলেন, ‘আমাদের যে ভূ-সম্পত্তি রয়েছে সেগুলোর সদ্ব্যবহার এবং সেখানে পরিকল্পিত আয়ববর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হলে নগরীর উন্নয়ন ও জনদুর্ভোগ লাঘবে আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বনির্ভরতা নিশ্চিত হবে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গাজী মো. শফিকুল আজিম, জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহেদ ইকবাল বাবু, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন চৌধুরী জয় প্রমুখ।

-সিভয়েস/এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়