Cvoice24.com

ফ্রি চিকিৎসায়ও রোগী নেই চসিকের আইসোলেশন সেন্টারে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ২০ এপ্রিল ২০২১
ফ্রি চিকিৎসায়ও রোগী নেই চসিকের আইসোলেশন সেন্টারে

চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩৪৭ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গত দু' সপ্তাহ ধরে এভাবেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে নগরের লালদিঘী পাড়ের লাইব্রেরি ভবনে বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে চসিক। তারপরও প্রায় দুই সপ্তাহে সেখানে চিকিৎসার জন্য এসেছেন মাত্র ১৪ জন রোগী।  ৫০ বেডের বিপরীতে বর্তমানে সেখানে ভর্তি আছে মাত্র ৩ জন রোগী। এ হিসাব গত ১৮ এপ্রিলের। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন ঘরে বসেই চিকিৎসা নিতে চাইছেন করোনা আক্রান্ত কিংবা উপসর্গের রোগীরা। তাছাড়া করোনা চিকিৎসায় একেবারে নতুন চসিকের এ আইসোলেশন। তাই আস্থার সংকট আছে আইসোশেন ঘিরে। প্রধানত এ দুই কারণেই  ফাকা পড়ে আছে  চসিকের ৫০ বেডের এ আইসোলেশন সেন্টারটি। একই চিত্র নগরের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও। আগের থেকে তুলনামূলকভাবে সাধারণ বেডে করোনা রোগীর চাপ কমেছে। 

চসিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ফেরত গেছে ৩ জন। তাছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়েছে ৬ জনকে। আইসোলেশনে সর্বাধিক ৫ জন রোগী এসেছে বাকলিয়া- চকবাজার এলাকা থেকে। পটিয়া, নাসিরাবাদ, লালখান বাজার, টেরিবাজার, রাজাপুকুর লেইন, খুলশী পাথরঘাটা থেকে রোগী এসেছে ১ জন করে। এর বাইরে ব্যাটারিগলি থেকে এসেছে ২ জন রোগী। মোট ১৪ জন রোগীর মধ্যে ৭ জন নারী ও ৭ জন পুরুষ। 

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম আকতার চৌধুরী সিভয়েসকে বলেন, 'এখন অনেকেই ঘরে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  যার কারণে এখানে রোগী কম। ' 

কিন্তু রোগী বাড়লে সে জন্য আইসোলেশনটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের ৫০ টি বেড, অক্সিজেন, ওষুধ একেবারেই প্রস্তুত। সম্পূর্ণ ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এখানে।' 

আইসোলেশন সেন্টারের দোতলায় ৩৫ শয্যা রয়েছে পুরুষদের জন্য ও তৃতীয়তলায় ১৫ শয্যা নারীদের। চসিকের ১১ জন চিকিৎসককে সেখানেপদায়ন করা হয়েছে। রোস্টার অনুযায়ী নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন ১০ জন চিকিৎসক। এ ছাড়া ১২ জন প্যারামেডিকস, তিনজন ফার্মাসিস্ট, আটজন ওয়ার্ডবয়, দুজন স্টোর কিপার ও তিনজন ওয়ার্ড মাস্টার দায়িত্ব পালন করার কথা রয়েছে। 

পরিস্থিতি বুঝে আইসোলেশন সেন্টার সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। তখন শয্যা ও জনবলও বাড়ানো হবে। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে প্রথম এক সপ্তাহে রোগী ভর্তি চারজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ভর্তি হওয়ার পরও প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়া যাচ্ছে না আইসোলেশন সেন্টারে—এমনও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন বর্তমানে করোনার যে ভেরিয়েন্ট সেটা দ্রুত একজন থেকে একজনে ট্রান্সমিটেড হচ্ছে। বাসায় থেকে চিকিৎসা নিলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে দ্রুত বিস্তার ঘটবে।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও করোনা বিষয়ক স্বাচিপের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক আ ম ম মিনহাজুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, ' চসিকের আইসোলেশনে রোগী কম থাকার থাকার দু'টি কারণ থাকতে পারে। একে তো করোনার নতুন ধরণ সম্পর্কে মানুষের ধারণা নেই। মানুষের মধ্যে সচ্ছ ধারণা তৈরি করতে হবে।  দ্বিতীয়ত এ আইসোলশনটি সম্প্রতি গড়ে উঠেছে তাই হয়তো আস্থা রাখতে পারছে না মানুষ। তবে আমি মনে করি চসিকের জায়গায় তারা সঠিক,  কারণ  নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছে। রোগী আসতে না চাইলে তো কিছু করার থাকে না। ' 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়