Cvoice24.com

‘ট্রায়াল বেসিসে’ রেলের বহরে সেই ১০ ইঞ্জিন, রিপোর্ট যাবে মন্ত্রণালয়ে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৩৬, ২৬ এপ্রিল ২০২১
‘ট্রায়াল বেসিসে’ রেলের বহরে সেই ১০ ইঞ্জিন, রিপোর্ট যাবে মন্ত্রণালয়ে

ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ৯ মাস পর ধোঁয়াশা কাটিয়ে রেলের বহরে যুক্ত হতে চলেছে কোরিয়া থেকে (পূর্বাঞ্চলে) আনা দশটি ইঞ্জিন। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ৩২২ কোটি টাকায় কোরিয়া থেকে মিটার গেজে (পূর্বাঞ্চল রেলওয়েতে) চলাচলের জন্য এসব ইঞ্জিন আনা হলেও বিভিন্ন জটিলতায় প্রায় ৯ মাস ইঞ্জিনগুলো পড়েছিল চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে ডিজেল শপে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, রোববার (২৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনার নিয়ে ঢাকায় ছুটে গিয়েছে ৩০০১ সিরিয়ালের রেল ইঞ্জিন এবং সোমবার (২৬ এপ্রিল) একই রুটে চালানো হয়েছে ৩০০২ সিরিয়ালের ইঞ্জিনটি। একইভাবে ৩০০৩ থেকে ৩০১০ পর্যন্ত বাকি ৮টি ইঞ্জিনও ক্রমান্বয়ে চালানো হবে ট্রায়াল বেসিসে।

দু’দিনে ৩২২ কোটি টাকার বিতর্কিত এ ইঞ্জিনগুলোর গতির ঝড় কেমন? এ প্রশ্নের উত্তরে খোলাসাভাবে কিছুই জানাতে রাজি হননি রেলওয়ে কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ট্রায়ালে এ দশটি ইঞ্জিন চালানোর জন্য ঢাকার রেলভবন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একটি ফর্মে ইঞ্জিনের গতিসহ সবকিছু নোট করা হবে। তা সরাসরি যাবে ঢাকা রেল ভবনে।

রেলওয়ের নির্ভরশীল একটি সূত্র বলছে, লকডাউনে সবকিছু ফাঁকা আছে। সেই হিসেবে  সাধারণ ইঞ্জিনগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড থেকে ছাড়লে ঢাকা পৌঁছাতে সময় লাগতো দশ থেকে সাড়ে দশ ঘণ্টা। আর প্রথম দিনে ছেড়ে যাওয়া ৩০০১ কোরিয়ান ইঞ্জিনটি ঢাকায় পৌঁছে প্রায় ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে। দ্বিতীয় দিন ছেড়ে যাওয়া ৩০০২ সিরিয়ালের কোরিয়ান ইঞ্জিনটি এ রিপোর্ট লেখা পর‌্যন্ত ঢাকায় পৌছায়নি বলে জানা গেছে। তবে ওই সূত্রটি বলছে, দুটি ইঞ্জিনের গতি একই রকম হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী বলেন, ‘এ ইঞ্জিনগুলোর গতি ধীরে ধীরে আরও বাড়তে পারে। তবে আশানুরূপ গতি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।’

অথচ রেলওয়ে এখন উচ্চ গতির ট্রেন পরিচালনার দিকে নজর দিচ্ছে। সেই আলোকে রেলকে গতিশীল করতে ১২০ থেকে ১৩০ কি.মি. গতিতে ট্রেন চালাতে ৮ মাস আগে ৩২২ কোটি টাকায় কেনা হয় এই ১০টি ইঞ্জিন।

বিতর্কিত এই দশ ইঞ্জিন পরীক্ষামূলকভাবে রেলের বহরে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি সিভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রেল ভবন থেকে সিদ্ধান্ত দিয়েছে ট্রায়াল বেসিস চালাবে। তাই আমরা চালাচ্ছি।’ চালু হওয়া দু’টি ইঞ্জিনের গতিবিধির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রেল ভবন থেকে একটি ফর্ম  দেওয়া হয়েছে। এটা ফিলআপ করে রেল ভবনে পাঠানো হবে। এ রিপোর্ট আমাদের কাছে আসবে না।’ 

প্রসঙ্গত, ইঞ্জিনগুলো আমদানির ক্ষেত্রে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে হুন্দাই রোটেম কোম্পানি (এইচআরসি)— এমন অভিযোগের পাশাপাশি রেলওয়ের কমিশনিং কমিটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, সরবরাহকৃত ইঞ্জিনগুলোর চারটি মূল কারিগরি উপাদান ইঞ্জিন, অল্টারনেটর, কমপ্রেসর ও ট্র্যাকশন মোটর চুক্তিতে উল্লেখিত বর্ণনার সঙ্গে মিলছে না। রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, মাস দুয়েকের মধ্যে ট্রায়াল সম্পন্ন করে বহরে যুক্ত হয় রেলইঞ্জিন। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে এই দশটি ইঞ্জিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল প্রায় ৯ মাস।

-সিভয়েস/এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়