Cvoice24.com

কালির ছড়া খালের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল চসিক

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:১৫, ২ মে ২০২১
কালির ছড়া খালের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল চসিক

নগরের পানি নিষ্কাশনের গুরুত্বপূর্ণ পথ কালির ছড়া খাল। কিন্তু প্রায় এক দশকের বিভিন্ন সময়ে এ খালের দুই পাড় ও ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নির্দিধায় বেদখল করে আসছিলেন দখলদাররা। ছড়া খালটি সংকুচিত হয়ে পড়ায় এতে করে বর্ষা মৌসুমে দেখা দেয় তীব্র জলাবদ্ধতা। বর্ষার শুরুর আগ মুহুর্তে আকবরশাহ থানার কালির ছড়া খালের পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রবিবার (২ মে) চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে খালের ওই অংশ থেকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৬টি কাঁচা বসতঘর।

চসিক সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরের উত্তর পাহাড়তলী ও কাট্টলী এলাকার পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে কালির ছড়া খাল। নগরের বায়েজিদ এলাকায় অবস্থিত পাহাড় থেকে এ ছড়ার উৎপত্তি। এই ছড়া নগরের পাহাড়তলী ও উত্তর কাট্টলী হয়ে সাগরে মিশেছে। 

সিটি করপোরেশনের সূত্রমতে, এই ছড়ার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ কিলোমিটার ও প্রস্থ এলাকাভেদে প্রায় ৩০ ফুট থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত। তবে বর্তমানে বেশ কিছু অংশ দখলে সংকুচিত হয়ে গেছে ছড়া খালটি। কোথাও কোথাও খালটির প্রস্থ হয়ে গেছে ১০ থেকে ১২ ফুট।

স্থানীয়রা জানান, মূলত শুকনো মৌসুমে বেদখল শুরু হয় খালটির দুই পাড়ে। খালের পাড় ইচ্ছেমত দখল করে কাঁচা বসতঘর নির্মাণ করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। যার দরুণ বর্ষা মৌসুমে সৃষ্টি হয় তীব্র জলবদ্ধতা। বিপাকে পড়ে আশপাশের লক্ষাধিক বাসিন্দা।

এদিকে চসিকের কর্মকর্তারা জানান, আকবরশাহ থানার অংশে অবৈধ উচ্ছেদ হটিয়ে দিয়ে সেখানে খালের দেয়াল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে চসিক। চিহ্নিত করা হয়েছে খালটির সীমানা। অচিরেই সেখানে দেয়াল নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছে চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

আকবরশাহ থানা এলাকার এই অভিযান শেষে কর্ণেল হাট, ফিরোজশাহ কলোনি ও এ কে খান মোড় এলাকায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন এবং মাস্ক বিতরণ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

-সিভয়েস/এপি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়